নেপালে বৃষ্টি-ভূমিধসের কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১২। এ ছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৬৮ জন, আহত হয়েছেন আরও ১০০ জন। রবিবার নেপালের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (এপিএফ) ও নেপাল পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে।
এপিএফ ও নেপাল পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত কাভরেপালানচক জেলায় ৩৪ জন, ললিতপুরে ২০ জন, ধাডিংয়ে ১৫ জন, কাঠমান্ডুতে ১২ জন, মকওয়ানপুরে ৭ জন, সিন্ধুপালচক থেকে ৪ জন, দোলাখায় ৩ জন এবং পাঁচথার ও ভক্তপুর জেলায় ৫ জন করে বাসিন্দার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
এছাড়া ধানকুটা ও সোলুখুম্বুতে দু’জন করে এবং রামছাপ, মহোত্তারি ও সুনসারি জেলায় একজন করে মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে।
নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক জানিয়েছেন, সম্প্রতি প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কাঠমান্ডু উপত্যকায়। নেপাল সেনাবাহিনী, সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং নেপাল পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
রমেশ বলেন, তুমুল বৃষ্টির কারণে দেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কাঠমান্ডু উপত্যকায় ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। নেপাল সেনাবাহিনী, সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং নেপাল পুলিশ দেশজুড়ে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। এখনও অনেকজন নিখোঁজ রয়েছেন।
নেপাল সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা সংক্রান্ত সংস্থা জানিয়েছে, ৭৭টি জেলার মধ্যে ৫৬টি জেলায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওই জেলাগুলির বাসিন্দাদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
হিমালয়ের দেশ নেপালে সাধারণ জুন মাসের মাঝামাঝি (১৩ জুন) বর্ষা শুরু হয়, আর তা চলে সেপ্টেম্বরের শেষ দিক পর্যন্ত। কিন্তু এবার নেপালে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির দাপট থাকতে পারে। চলতি বছর নেপালে বর্ষা প্রবেশ করে স্বাভাবিক অর্থাৎ ১৩ জুন থেকে তিন দিন আগে, ১০ জুন।