• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

নজির গড়ে পাকিস্তানে প্রথম হিন্দু মহিলা পুলিশের শীর্ষ পদে

পাকিস্তানের মত দেশে রক্ষণশীলতার এতটাই প্রভাব যে, কোনো মহিলার বিশেষ কোনো অধিকার নিয়ে ভাবাটাই ওখানে কল্পনাতিত। তারপর হিন্দুরা তো সংখ্যালঘু।

পাকিস্তানের মত দেশে রক্ষণশীলতার এতটাই প্রভাব যে, কোনো মহিলার বিশেষ কোনো অধিকার নিয়ে ভাবাটাই ওখানে কল্পনাতিত। তারপর হিন্দুরা তো সংখ্যালঘু।

সেখানে হিন্দু মেয়েদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে মুসলিম বিবাহ নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। সেখানে কোনও হিন্দু মহিলার পাকিস্তান পুলিশের শীর্ষ পদে নিয়োগ হওয়ার বড় ব্যাপার বইকি।

সিন্ধু প্রদেশে এর আগে হিন্দু মহিলা পুলিশ অফিসারের পদ পেয়েছেন ঠিকই, তবে পুলিশের উঁচু পদে কোনও হিন্দু মহিলা অফিসারকে তেমনভাবে দেখা যায়নি।

সেই অসাধ্য সাধন করে ফেলেছেন মনীষা রুপেতা। পাক পুলিশের ডেপুটি সুপারের পদে বসতে চলেছেন তিনি।

যে সিন্ধু প্রদেশেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের ঘটনা নতুন নয়। জোর করে হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান কিশোরীদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করে মুসলিম পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা আকছাড় ঘটছে।

তাছাড়া সেই প্রদেশে হিন্দু মন্দিরে হামলা, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের ঘটনাও নতুন নয়। সেই সিন্ধু প্রদেশেরই বাসিন্দা হিন্দু পরিবারের মেয়ে মনীষা পাক পুলিশের উঁচু পদ পেয়ে নজির গড়েছেন।

সিন্ধু প্রদেশের জেকবাবাদে মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছেন মনীষা। তাঁর অন্যান্য ভাইবোনেরা ডাক্তারি পড়ছেন। মনীষাও এমবিবিএস পরীক্ষায় বসেছিলেন।

কিন্তু মাত্র এক নম্বরের জন্য ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা থেকে ছিটকে যান। তাতে অবশ্য দুঃখ পাননি মনীষা।

তাঁর ইচ্ছা ছিল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসা। আপাতত পাক পুলিশের উর্দি উঠবে তাঁর গায়ে। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষাও নাকি দিতে চান তিনি।

মনীষা বলছেন, রক্ষণশীলতা ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কঠোর নীতির বিরুদ্ধেই তাঁর লড়াই চলবে। এ দেশে প্রশাসনিক পদে লিঙ্গবৈষম্য প্রবল।

মহিলাদের ওপর নির্যাতনের মাত্রাও বেশি। সেখানে প্রথম তিনিই হবেন মহিলা রক্ষক। লিঙ্গবৈষম্য ঘুচিয়ে মহিলাদের অধিকার দেওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি।

এর আগেও অবশ্য পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সরকারি পরীক্ষায় পাশ করে পাকিস্তানের অ্যাডিমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে (পিএএস) পাশ করেছিলেন হিন্দু পরিবারের সানা রামচাঁদ।