মায়ানমারে মৃত্যুমিছিল, ঝড়-বন্যার বলি ৭৪

ঝড় এবং বন্যা – এই জোড়া ফলায় কার্যত বিপর্যস্ত ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমার। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যুও হয়েছে বহু মানুষের। আর ইয়াগি প্রভাবে দেশজুড়ে বন্যায়ও বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যাটা ৭৪। নিখোঁজ রয়েছেন ৮৯ জন।

সপ্তাহখানেক আগে মায়ানমার, ভিয়েতনাম, লাওস, থাইল্যান্ডে সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি। ঝড়ের দাপট এতটাই প্রবল ছিল যে এর প্রভাবে বন্যা–ভূমিধসের সৃষ্টি হয়। এই দুর্যোগে সবমিলিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩৫০ জন। ৬০ বছরে রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টির সাক্ষী হল মায়ানমার।

মায়ানমার সরকারের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ইয়াগি দুর্যোগের প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। কমপক্ষে ৭০ হাজার বাড়ি ভেঙে পড়েছে। পাঁচটি বাঁধ কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে মায়ানমারে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।


আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইয়াগির জেরে ২৪টি সেতু, ৩৭৫টি স্কুল বাড়ি, একটি মনাস্ট্রি, চারটি প্যাগোডা, ১৪টি ইলেকট্রিক ট্রান্সফর্মার, ৪৫৬টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে বাধ্য হয়ে বিদেশি সহায়তা চেয়েছেন মায়ানমার সরকারের প্রধান।

জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং এবং অন্য নেতারা এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন। বিজ্ঞানীদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই টাইফুন ও হারিকেন ক্রমেই আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। সেই কারণে এত ভয়াবহ দুর্যোগের সাক্ষী হচ্ছে বিভিন্ন দেশ।