মেকি গণতন্ত্রের এক দশক কাটতে না কাটতেই ফের মায়ানমারের দখল নিয়ে সামরিক জুন্টা। সামরিক বাহিনীর হাতে বন্দি নােবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী আং সান সু চি। এহেন পরিস্থিতিতে সে দশে গণতন্ত্র রক্ষায় আসরে নেমেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। মায়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে এদিন জরুরি বৈঠকে বসে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
পাহাড়ি দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনাকে গণতন্ত্রের ওপর ভীষণ আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরস। রাষ্ট্রসঙ্ঘে ব্রিটেনের দূত বারবারা উডওয়ার্ড সাফ জানিয়েছেন, গত নভেম্বর মাসে মায়ানমারে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলকেই বৈধ হিসাবে গণ্য করা হবে। নেত্রী সু চি’র জন্য দ্রুত চেষ্টা শুরু করবে ব্রিটেন।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রতিনিধি স্তেফানি দুজানিক জানিয়েছেন, ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণেই মায়ানমারের রাজধানী নাইপিডে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গে কোনও যােগাযােগ করা যাচ্ছে না। এই অভুত্থানের ফলে রাখাইন প্রদেশে থাকা রােহিঙ্গাদের জীবন আরও অসহনীয় হয়ে উঠবে।
মায়ানমারের শাসকদল ন্যাশনাল লিগ অব ডেমােক্রেটিক পার্টির মুখপাত্র মায়ও নায়ান্ট জানান, আচমকাই কাউন্সিলার সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও অন্য নেতাদের আটক করে সেনাবাহিনী। উল্লেখ্য গত বছর বিরােধীদের পরাজিত করে ক্ষমতায় ফিরেছে সু চি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমােক্রেসি।