বাংলাদেশের গণঅভুত্থানের ঘোষণাপত্র আগামী ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব। রবিবার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে ঢাকায় ছাত্র নেতৃত্ব। এই খসড়ায় ১৯৭২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের আমলের সংবিধান বাতিল করাই শুধু নয়, শেখ হাসিনার জমানায় নির্বাচিত অথবা মনোনীত সব পদাধিকারীদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
ওই ঘোষণাপত্র অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনকে বিদায় নিতে হবে। গত বছর শেখ হাসিনার জমানায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে রাষ্ট্রপতি হন সাহাবুদ্দিন। এ ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানিয়েছে, আগস্ট বিপ্লবের এই ঘোষণাপত্র ৫ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে ধরা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃত্বের ঘোষণাপত্র সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানার পর নড়েচড়ে বসেছে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। বিতর্ক এড়াতে তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মহম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই।’ তিনি এও বলেন, ‘এটা একটা ব্যক্তিগত উদ্যোগ। এটির সঙ্গে সরকারের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। যাঁরা ছাত্রদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন, তাঁরা একটি ব্যক্তিগত উদ্যোগকে সমর্থন করছেন।’ ছাত্রদের বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। দেশের চলতি সংবিধান আমূল বদলের দাবি করে ছাত্ররা জানিয়েছেন, ‘ওই সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অস্বীকার করা হয়েছে। মুজিববাদী ওই সংবিধান ন্যায়ের পরিপন্থী। বৈষম্যের অবসানে নতুন সংবিধান চাই।’