অবশেষে শৈত্য কাটিয়ে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে বুধবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বুধবার উভয় পক্ষই একমত হয়েছেন যে, ভারত ও চিনের সম্পর্ক দৃঢ় হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে। সীমান্ত সমস্যা নিয়ে চাপানউতোরের পর দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে মোদী-শি বৈঠকে।
এই বৈঠক প্রসঙ্গে মোদী বলেন, ‘পাঁচ বছর পর আমাদের মধ্যে সরকারি বৈঠক হল ৷ আমরা বিশ্বাস করি ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ, শুধুমাত্র আমাদের দুই দেশের মানুষের জন্য নয়, বিশ্বে উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতির জন্যও৷ গত ৪ বছরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে যে বিষয়গুলি নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল, সে বিষয়ে একমত হতে পেরেছে দুই দেশ৷ এই বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাই৷ সীমান্ত এলাকায় শান্তি, স্থিতিশীলতা বজায় রাখাই আমাদের কাছে অগ্রাধিকার৷’
বিদেশসচিব আরও জানান, ‘মোদী এবং জিনপিং দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিকোণ থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন। সীমান্ত এলাকায় শান্তি পুনরুদ্ধার করে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে এগোনো হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গালওয়ানে ভারত ও চিন সেনার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ৷ এরপর থেকে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে ওঠে ৷ তার আগে ২০১৯ সালে তামিলনাড়ুর মহাবলিপূরমে শি-মোদী সাক্ষাৎ হয়েছিল৷ এরপর ২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলনে তাঁদের দেখা হয় ৷ ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গেও দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে সাক্ষাৎ হয়েছিল ৷
চিনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ভূখন্ড দখল নিয়ে বারবার অভিযোগ করে এসেছে ভারত। লাদাখকে কেন্দ্র করে প্রতিরক্ষা ও বিদেশমন্ত্রক স্টোরে একাধিকবার বৈঠক হয় দিল্লিতে। পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে সংঘাতের অবসানে উভয় দেশের ঐক্যমত্যের পর এই বৈঠক কতদূর ফলপ্রসূ হবে তা বলবে আগামী দিন।