• facebook
  • twitter
Wednesday, 2 April, 2025

সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানকে একসুরে আক্রমণ মোদী ও ট্রাম্পের

'একতরফা' বলে প্রতিবাদ ইসলামাবাদের

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়ে এক সুরে পাকিস্তানকে আক্রমণ মোদী ও ট্রাম্পের। ভারত ও আমেরিকার দুই রাষ্ট্রপ্রধান যৌথ বিবৃতিতে কড়া বার্তা দিয়েছে পাকিস্তানকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সঙ্গে নিয়েই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, পাকিস্তানকে নিশ্চিত করতে হবে তাদের মাটি যেন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার না করা হয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মুখ থেকে এই কথা ঘোষণার পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে। এই বিষয়টিকে ভারতের বিরাট কূটনৈতিক জয় হিসাবেই দেখছেন অনেকে। প্রসঙ্গত সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়ার অভিযোগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক বার সরব হয়েছে ভারত।

এছাড়া মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর ২৬/১১-র অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকেও ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প। তাহাউর পাক বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক। বর্তমানে ক্যালিফর্নিয়ার জেলে তিনি বন্দি। কিছু দিন আগে তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণে সায় দিয়েছিল আমেরিকার আদালত। তাহাউর সম্পর্কে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানকে বার্তা দেয় দুই দেশ। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “বিশ্বের অন্যতম শত্রু, যিনি ২০০৮ সালে মুম্বই হামলায় জড়িত, তাঁকে বিচারের সম্মুখীন হওয়ার জন্য ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

কিন্তু মোদির সঙ্গে একই সুরে ট্রাম্পের এই মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসলামাবাদ। কার্যত ইসলামাবাদ চূড়ান্ত হতাশ ও স্তম্ভিত। এদিন ভারত ও আমেরিকার যৌথ বিবৃতির পর পাকিস্তান অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। যৌথ বিবৃতিতে পাকিস্তানের উল্লেখেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সে দেশের বিদেশ বিষয়ক মুখপাত্র শাফকাত আলি খান। শুক্রবার তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের বিষয়ে পাকিস্তানের উল্লেখে তিনি বিস্মিত। পাকিস্তান যে আত্মত্যাগ করেছে, তাকে গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না। শাফকাতের দাবি, মোদী-ট্রাম্পের বিবৃতি ‘একতরফা এবং বিভ্রান্তিকর’। এই ধরনের মন্তব্য ‘কূটনৈতিক নিয়মের পরিপন্থী’ বলেও দাবি করেছেন তিনি।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুদিনের সফরে আমেরিকায় পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর ভারতীয় সময় অনুযায়ী, শুক্রবার ভোরে মোদী ও ট্রাম্প বৈঠকে বসেন। আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সেই বৈঠকে আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে। বিশেষভাবে গুরুত্ব পায় সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ। মোদী ও ট্রাম্প ইসলামিক সন্ত্রাস রুখতে যৌথভাবে কাজ করতে সহমত পোষণ করেন। বৈঠক শেষে মোদির সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেন ট্রাম্প। সেখানে সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়ে পাকিস্তানকে ‘টার্গেট’ করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। যৌথ বিবৃতিতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ দমনের জন্য পাকিস্তানকে সবরকম চেষ্টা করতে হবে। তাদের মাটি ব্যবহার করে যাতে সীমান্তে সন্ত্রাসবাদী হামলা না হয় তা ইসলামাবাদকেই নিশ্চিত করতে হবে।