বিয়ে ভেঙতে চলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তৃতীয় স্ত্রী মেলানিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের দাম্পত্য জীবন নাকি একেবারে সুতোর ওপর ঝুলছে। এমনই দাবি করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রাক্তন এক সহযোগী। তাঁর আরও দাবি, ডোনাল্ডকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা চিন্তাভান্না করছেন মেলানিয়া। প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হলেই বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করবেন তিনি।
‘Unhinged: An Insider’s Account of the Trump White House’ নামে একটি বই লিখেছে ট্রাম্পের প্রাক্তন রাজনৈতিক সহযোগী ওমারোসা এম নিউম্যান। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাম্পত্য জীবন নিয়ে নানা চাঞ্চল্যকর বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
নিউম্যানের দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাম্পত্য জীবন মোটেই সুখের নয়। এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চান ফার্স্ট লেডি। কিন্তু তিনি এটাও ভালো করে জানেন, যতদিন ‘ডন’ প্রেসিডেন্ট পদে আছেন ততদিন তাঁর পক্ষে এই বিয়ে ভেঙে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছেন তিনি।
ওমারচোসা এম নিউম্যান লিখেছেন, ট্রাম্প প্রেসিডন্ট পদে থাকাকালীন মেলানিয়া যদি বিবাহ বিচ্ছেদের পথে গেলে তাঁর বিপদ হতে পারত। সে ক্ষেত্রে কোনও একটা পথ খুঁজে ট্রাম্প তাঁকে শাক্তি দিতে পারতেন। আমার মতে, মেলানিয়া সঠিক মুহূর্ত খুঁজছেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যাওয়ার মুহুর্তের মধ্যে তিনি তাঁকে ডিভোর্স দেবেন।
কিসের ভয় পাচ্ছেন মেলানিয়া? সে কথাও বইতে উল্লেখ করা হয়েছে। মেলানিয়ার জন্ম স্লোভেনিয়ায়। পরে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব পান। লেখিকার মতে, স্ত্রী কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী নাগরিকত্ব পেয়েছে তা মার্কিন প্রেসিডেন্টের অজানা নয়। এখন মেলানিয়া বিবাহ বিচ্ছেদ চাইলে সেই অস্ত্রই প্রয়োগ করতে পারেন ট্রাম্প। যদিও কী কারণে আমেরিকার ফার্স্ট লেডি ডিভোর্স চাইছে, সে বিষয়ে ওই বইতে খোলসা করে কিছু জানানো হয়নি।
যদিও গোটা বিষয়টি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন মেলানিয়া। নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নিউম্যান তাঁর বইতে এই সমস্ত অবান্তর ও মনগড়া কথা লিখেছেন বলেও তাঁর দাবি। মার্কিন ফার্স্ট লেডির মুখপাত্র এক ব্ৰিতিতে বলেছেন, নিউম্যান হোয়াইট হাউজের কর্মী ছিলেন ঠিকই কিন্তু ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়নি বললেই চলে। ফলে নিজের বইতে তিনি ট্রাম্প দম্পতির দাম্পত্য জীবন নিয়ে যে সমস্ত কথা লিখেছেন সবটাই আষাঢ়ে গল্প ছাড়া আর কিছু নয়।