বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ জনবহুল দেশ ইন্দোনেশিয়ায় কোভিড রােগীদের জন্য আবশ্যক মেডিকেল অক্সিজেনের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করে দেশে কোভিড সংক্রমণ পরিস্থিতি ঘুরে দাড়ানােয় রীতিমতাে নাজেহাল ইন্দোনেশিয়া প্রশাসন।
দেশে সঙ্কটজনক কোভিড রােগীদের জন্য প্রয়ােজনীয় মেডিকেল অক্সিজেনের সঙ্কটের কথা উল্লেখ করে ইন্দোনেশিয়া সরকারের তরফে চিন, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া সহ একাধিক দেশকে অক্সিজেন পাঠানাের আর্জি করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় দৈনিক অক্সিজেনের চাহিদা ১,৯২৮ টনে পৌঁছেছে, সেখানে দেশে দৈনিক অক্সিজেন উৎপাদনের পরিমাণ ২২৬২ টন।
উল্লেখ্য, করােনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত মে মাসের গােড়ায় সার্বিকভাবে বিপর্যস্ত ভারতকে ৩৪০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার ও কনসেনট্রেটর দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ইন্দোনেশিয়া।
কোভিড রেসপন্স দফতরের ইনচার্জ মন্ত্রী লিউহুত বিনসার পাঞ্জটান বলেন, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে ১০০০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, কনসেনট্রেটর, ভেন্টিলেটর সহ অন্যান্য চিকিৎসা সম্বন্ধীয় সামগ্রী পাঠিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ১০০০ টি ভেন্টিলেটর পাঠিয়েছে।
তিনি আরও জানান, ‘সরকার ৩৬,০০০ টন অক্সিজেন ও ১০,০০০ কনসেনট্রেটর সিঙ্গাপুর থেকে ক্রয় করার পরিকল্পনা করেছে।
ইন্দোনেশিয়ায় ২,৪৫৫,৯১২ কোভিড আক্রান্ত হয়েছে। ৬৪,৬৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, দেশে সরকারি হিসেবে কোভিড আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কম করে দেখানাে হচ্ছে। বাস্তবে সংখ্যাটা অনেক বেশি।
গতকাল ৩৮,১২৪ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। ২৪ ঘন্টায় ৮৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে কোভিড রােগীদের ভিড় উপচে পড়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগের সঙ্কটজনক অবস্থা। চিকিৎসা পাওয়ার অপেক্ষা করতে গিয়ে অনেকের মৃত্যুও হচ্ছে।
জাভায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালগুলাে জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে অস্থায়ী আইসিইউ শুরু করেছে। অক্সিজেনের অভাবে একটি বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এই সপ্তাহের গােড়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।