পাকিস্তানের মাটিতে বসে ক্রমাগত ভারতের বুকে একের পর এক নারকীয় হত্যালীলার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে গিয়েছিল কুখ্যাত দিয়েছে জঙ্গি নেতা মাসুদ আজহার। তার সংগঠন জইশ-এ-মহম্মদ ফেব্রুয়ারিতেই কাশ্মীরের মাসুদ পুলওয়ামায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। যার জবাব শুধু পাকিস্তানের আকাশে ঢুকে হয়েছি এয়ারস্ট্রাইকেই দেয়নি ভারত, তার সঙ্গে রাষ্ট্রসঙেঘ কূটনৈতিক চাপ তৈরি করে মাসুদকে ইসলাম বিশ্ব সন্ত্রাসবাদীর তকমা দিয়ে ছেড়েছে। পাকিস্তান জোরদার উদ্যোগ নিয়েছে তাদের ঘরে লালিত এই জঙ্গিকে নিরাপদে রাখার জন্য। এদিকে ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এদিন দাবি করেছেন, মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমা দেয়া সমস্ত ভারতীয়র জয়। একই সঙ্গে মাসুদ আজহার ও বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে বিরােধীদের মন্তব্যকেও এদিন কটাক্ষ করেন জেটলি।
তিনি বলেন, পুলওয়ামা এবং বালাকোটের পর সারা বিশ্বে যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল, তার পরেই চিন বাধ্য হয় তাদের অবস্থান করছে পরিবর্তন করতে। বিশেষ করে পুলওয়ামার হামলায় মাসুদ আজহারের গােষ্ঠীর হাত ছিল প্রমাণ হওয়ার পর চিনের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়তে থাকে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির কঠোর অবস্থানই মাসুদ নারকীয় আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকায় পৌঁছে দিয়েছে।
এদিকে পুলওয়ামা হত্যাকাণ্ডের পরে মাসুদকে গৃহবন্দি করে পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরের মার্কাস সুবানআল্লায় রাখা হয়েছিল। পরে বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার সঙ্গে পাল্টা হানার পর থেকে মাসুদের ডেরা হয়েছে ইসলামাবাদ।তাকে আপাতত ইসলামাবাদেই। এবার কোনাে নিরাপদ জেরায় রাখার কথা হচ্ছে তাদের পাকিস্তানের প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়। সেখানকার কোনাে গােপন স্থানে তাকে রাতারাতি লুকিয়ে ফেলার চেষ্টায় রয়েছে পাকিস্তান। ভারতের গােয়েন্দা সূত্রের খবর, রাষ্ট্রসঙ্ঘ মাসুদকে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী তকমা দেয়ার পর এবার আফগানিস্তানে নিজেদের নেটওয়ার্ক বাড়াতে করেন চাইছে জইশ-এ-মহম্মদ।সেখানে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানি এজেন্সি আফগান-তালিবানদের সঙ্গে যােগাযােগ রাখছে। অন্যদিকে কাশ্মীরেও অশান্তি টিকিয়ে রাখার প্রক্রিয়া আরও জোরদার অবস্থান করছে বলে গােয়েন্দা সূত্রে খবর।
গােয়েন্দাদের দাবি, কাশ্মীরকে আরও অশান্ত করতে এবার নিজের পরিবার থেকে জঙ্গি তৈরি করে তাদের ভূস্বর্গে পাঠানাের ব্যবস্থা করছে, জইশ।