• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ভারতের হাত ছাড়াই হল কাল, মলদ্বীপে শুরু মুইজ্জু বিদায়ের প্রস্তুতি

মালে, ২৯ জানুয়ারি– ভারতের হাত ছাড়তেই বেহাল দশা মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুর৷ ভারতের মত মিত্র দেশগুলির সঙ্গে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং সংসদে বিশৃঙ্খলার প্রেক্ষিতে, মুইজ্জুর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট বা অভিশংসন প্রস্তাব আনতে চলেছে সেই দেশের প্রধান বিরোধী দল, মলদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি বা এমডিপি৷ কোনও রাষ্ট্রীয় পদে থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগে এই প্রস্তাব আনা হয়৷ এমডিপি

মালে, ২৯ জানুয়ারি– ভারতের হাত ছাড়তেই বেহাল দশা মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুর৷ ভারতের মত মিত্র দেশগুলির সঙ্গে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং সংসদে বিশৃঙ্খলার প্রেক্ষিতে, মুইজ্জুর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট বা অভিশংসন প্রস্তাব আনতে চলেছে সেই দেশের প্রধান বিরোধী দল, মলদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি বা এমডিপি৷ কোনও রাষ্ট্রীয় পদে থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগে এই প্রস্তাব আনা হয়৷ এমডিপি এবং ডেমোক্র্যাট দুই দলের প্রতিনিধি মিলিয়ে মোট ৩৪ জন সাংসদ রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাবকে সমর্থন করছেন৷ এই প্রস্তাব পাস হলে, রাষ্ট্রপতির পদ খোয়াতে হবে মুইজ্জুকে৷ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মুইজ্জু জয় পেলেও, মলদ্বীর সংসদে এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সোলিহর দল এমডিপি-র৷ মহম্মদ মুইজ্জুর বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব আনার জন্য তারা যথেষ্ট সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে বলে জানা গিয়েছে৷ এই প্রস্তাব আনার বিষয়ে তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সেই দেশের ডেমোক্র্যাটরাও৷
রবিবার, মলদ্বীপের নতুন মন্ত্রীদের সংসদীয় অনুমোদন প্রদান প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয় মলদ্বীপ সংসদে৷ চার মন্ত্রীকে অনুমোদন না দেওয়ার প্রেক্ষিতে, সংসদের মধ্যে তুমুল হট্টগোল বাধায় মুইজ্জুর দল, পিএনসি-র সাংসদরা৷ এমডিপি সদস্যদের লাথি-ঘুষি-চড়-থাপ্পড় মারে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় মলদ্বীপ সংসদের অন্দরের সেই নাটকীয় দৃশ্য ছডি়য়ে পডে়৷ এমডিপি সাংসদ ইসা এবং পিএনসি সাংসদ আবদুল্লাহ শাহীম আবদুল হাকিমের মধ্যে ভয়ঙ্কর মারামারি হতে দেখা যায়৷ কয়েকজন সাংসদ গুরুতর আহত হন৷ তাঁদের অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷
এই প্রেক্ষিতে, এমডিপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইহুসান এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মহম্মদ ঘাসান মামুনের অনুমোদনও, সংসদে অস্বীকার করা হবে৷ পিএনসি সাংসদরা য়েভাবে সংসদীয় কার্যক্রমে বাধা দিয়েছেন, তার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এমডিপি মুখপাত্র৷ শুধু তাই নয়, দেশের বিদেশ নীতি থেকে যেভাবে ভারতকে ছেঁটে ফেলে চিনকে জায়গা দেওয়া হচ্ছে, তারও প্রতিবাদ জানিয়েছে এমডিপি৷ এমডিপি এবং ডেমোক্র্যাটরা এক একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, বিদেশ নীতির এই পরিবর্তন দেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের জন্য ‘অত্যন্ত ক্ষতিকর’৷