থামছে না হিংসা, ঢাকায় আগুনে পুড়ল লক্ষ্মীনারায়ণের মূর্তি

অগ্নিদগ্ধ লক্ষ্মীনারায়ণ মূর্তি।

‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ নয়’, কবিতায় এই লাইন লিখেছিলেন নবারুণ ভট্টাচার্য। ধীরে ধীরে বাংলাদেশ সত্যিই মৃত্যু উপত্যকার দেশ হয়ে উঠছে বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের কাছে। হিন্দুদের প্রতি বিদ্বেষ থামছেই না প্রতিবেশী দেশে। এবার ঢাকার এক ইসকন সেন্টারে আগুন লাগিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা! হামলা হয়েছে মন্দিরেও। পুড়ে গিয়েছে লক্ষ্মীনারায়ণের মূর্তি। এমনই দাবি কলকাতার ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাসের। এই ঘটনায় বারবার উঠে আসছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু মানুষের নিরাপত্তার কথা। যতদিন যাচ্ছে তাঁদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। হিংসার হাত রেহাই পাচ্ছে না ধর্মীয় স্থানও। মারধরের পাশাপাশি পিটিয়ে মেরে ফেলারও অভিযোগ উঠছে।

সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারি, ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি, একের পর এক ধর্মস্থানে আঘাত হানা, গত দেড় মাসে বাংলাদেশের ছবিটা ঠিক এমনই। সেই সঙ্গে সমানতালে চলছে সংখ্যালঘু নিপীড়ন। যার ঢেউ আছড়ে পরেছে ভারতে। কলকাতা, দিল্লি, ত্রিপুরার মতো নানা জায়গায় পথে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনগুলি। এর মধ্যেই ফের এক ধর্মীয় হিংসার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। আজ শনিবার সকালে কলকাতার ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস এক্স হ্যান্ডলে জানান, ‘বাংলাদেশে আরও এক ইসকনের নামহাট্টা সেন্টার পুড়ে গিয়েছে। ঢাকায় অবস্থিত শ্রী শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণের মন্দিরের ভিতরের সমস্ত জিনিসপত্রও সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গিয়েছে। আজ ভোর ৩টের মধ্যে, দুষ্কৃতীরা শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির এবং শ্রী শ্রী মহাভাগ্য লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেয়।’

এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে হিন্দু সংগঠন গুলি। তাঁরা ইউনূস সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে, অবিলম্বে সে দেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় স্থানগুলিতেও একই রকমের নিরাপত্তা দেওয়া হোক।