আইসক্রিমের নাম শুনলে মুখে জল আসে না এমন মানুষ মেলা ভার। সে ৮ হোক বা ৮০, আইসক্রিম দেখলেই যেন খেতে তৈরী। যেকোন সময়, যেকোন মরশুম সে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা আইসক্রিম খাওয়ার লোকের অভাব হয় না। তবে খেতে যতই ভাল হোক না কেন, দুগ্ধজাত এই পদার্থে কিন্তু তৈরির সময় মেশানো হয় নানা রাসায়নিক উপাদান। যা অনেক সময় আপনার সুস্বাস্থ্যের পরিপন্থী হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে এই বর্ষার মরহুম। যদি বর্ষার সময় নিয়মিত আইসক্রিম খান, তাহলে কিন্তু অচিরেই বাসা বাধবে নানান সমস্যা। তাই এই সময় আইসক্রিম খাবার আগে পরিণতি জেনে নেওয়াই ভালো নয় কি ? ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি – বর্ষার সময় এমনিতেই তাপমাত্রা অনেকটা কমে যায়। এই ঋতুতে আপনি যদি নিয়মিত আইসক্রিম খান, তাহলে যে ঠান্ডা লাগতে সময় লাগবে না। নাক দিয়ে জল গড়ানো, বুকে কফ জমা, কাশির মতো নানা সমস্যা হতে পারে।
গলা বসে যেতে পারে – এই ঋতুতে ঠান্ডা আইসক্রিম খেলে হুট করে গলা বসে যেতে পারে। তারপর কথা বলতে সমস্যা হবে। হতে পারে ব্যথা, বেদনাও। ঠান্ডা আইসক্রীম খাওয়ার ফলে গলায় ইনফেকশনও হতে পারে। টনসিলের সমস্যাও ঘিরে ধরতে পারে আপনাকে।
বাড়তে পারে ওজন – ওজন বেশি থাকাটা ভাল ব্যপার নয়। এর ফলে হটা পাড়ে নানা জটিল রোগ। নিয়মিত আইসক্রিম খেলে ওজন বাড়তে বাধ্য। কারণ, এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট এবগ শর্করা অর্থাৎ ক্যালোরির উৎস।
কোলেস্টেরল বাড়বে – রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লেই মুশকিল! দেখা দিতে পারে হার্ট অ্যাটাকের মতো জটিল রোগ। তাই যেভাবেই হোক কোলেস্টেরলকে বশে রাখতে হবে। আর সেই কাজে সাফল্য পেতে চাইলে আইসক্রিম খাওয়া চলবে না। কারণ, এই ডেজার্টে রয়েছে ক্ষতিকর ফ্যাটের ভাণ্ডার যা কোলেস্টেরল বাড়ায়। তাই লিপিডকে কন্ট্রোলে রাখতে চাইলে আজ থেকেই আইসক্রিম খাওয়া বন্ধ করে দিন।