নির্দিষ্ট শর্তে  ব্রিটেনের সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেলেন  জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

FILE - WikiLeaks founder Julian Assange speaks on the balcony of the Ecuadorean Embassy in London, Feb. 5, 2016. Assange will plead guilty to a felony charge in a deal with the U.S. Justice Department that will free him from prison and resolve a long-running legal saga over the publication of a trove of classified documents. AP/PTI(AP06_25_2024_000089A)

ওয়াশিংটন, ২৫ জুন – অবশেষে বন্দিদশা কাটল৷ ব্রিটেনের সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ৷ মার্কিন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হতে রাজি হওয়ার শর্তে তাঁকে মুক্তি দেয়  ব্রিটেনের আদালত৷ জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা সংশোধনাগার থেরে বেরিয়ে ব্রিটেন ছেড়ে আমেরিকার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন ৷ বুধবার আমেরিকার স্থানীয় সময় সকালেই  অ্যাসাঞ্জকে সে দেশের আদালতে পেশ করা হবে ৷ মার্কিন সেনাবাহিনীর গোপন নথি ফাঁসের মতো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে অ্যাসাঞ্জের সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে ৬২ মাস। কিন্তু ইতিমধ্যেই তিনি ৫ বছর ব্রিটেনে জেলে বন্দি ছিলেন। 

ব্রিটেনের সঙ্গে আমেরিকার বোঝাপড়া মাফিক , জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ তাঁর অপরাধ স্বীকার করে নেবেন ৷ এর পরিরর্তে তাঁকে আর সংশোধনাগারে কাটাতে হবে না । গুপ্তচির বৃদ্ধি আইন লঙ্ঘনের অপরাধ স্বীকার করে নিলে আমেরিকার আদালত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে৬২ মাসের সাজা দিতে পারে ৷  তিনি ইতিমধ্যে পাঁচ বছর ব্রিটেনের সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন ৷ এর ফলে তিনি পুরোপুরি সাজামুক্ত হয়ে নিজের দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যেতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে ৷

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বয়স এখন ৫২ বছর ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ইরাক ও আফগানিস্তানে হওয়া সংঘাত সংক্রান্ত সামরিক গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে ৷ ওই সংঘাতে নেতৃত্ব দিয়েছিল আমেরিকা ৷ উইকিলিকসের তরফে প্রকাশিত ফাইলগুলির মধ্যে বাগদাদে আমেরিকান বাহিনীর দ্বারা ২০০৭ সালের অ্যাপাচি হেলিকপ্টার হামলার একটি ভিডিয়ো ছিল, যাতে রয়টার্সের দুই সাংবাদিক-সহ ১১ জন নিহত হন । আমেরিকার গোপন তথ্য ফাঁস ও চরবৃত্তির অভিযোগে সে দেশে তাঁকে অপরাধীও ঘোষণা করা হয় ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ১৮ টি চার্জ রয়েছে৷ এর পাশাপাশি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে, যা তিনি অস্বীকার করেছেন ।


অ্যাসাঞ্জের তথ্য ফাঁস নিয়ে মামলা শুরু হয় আমেরিকার নর্দার্ন মারিয়ানা আইল্যান্ডের একটি আদালত। ব্রিটেন থেকে তাঁকে আমেরিকার হাতে প্রত্যর্পণ নিয়েও বেশ জলঘোলা হয়। প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া নিরাপদ হবে না বলে মনে করে অ্যাসাঞ্জের অনুগামীরা একে মানবাধিকার বিরোধী বলে তোপ দাগেন। অবশেষে অ্যাসাঞ্জ নিজেই আমেরিকার শর্ত মেনে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হতে রাজি হয়েছেন বলে উইকিলিক্স সূত্রে খবর।