মারাত্মক অপরাধ জনসনের,  বেবি পাউডার বন্ধ হচ্ছে বিশ্বজুড়ে

নিউ জার্সি, ১২ আগস্ট– শিশু জন্মানোর তার গায়ে মাখানোর জন্য প্রথম যে প্রোডাক্টের কথা মনে পড়ে তা হল জনসন কম্পমানির পাউডার। কিন্তু সেই পাউডারই নাকি শিশুর জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর। আর তাই তাকে নিষিদ্ধই করে দেওয়া হল। অভিযোগ, ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’-এর বেবি পাউডারে মেশানো হয় বিষাক্ত খনিজ, ক্ষতিকর অ্যাসবেস্টসের গুঁড়ো। সে নমুনাও পাওয়া গিয়েছে গবেষণাগারে। এই নিয়ে দায়ের হয়েছে বহু অভিযোগ।

পর প্রথম ভুরি ভুরি মামলায় জরাজীর্ণ জনসন। যদিও এই পতনের সূচনা শুরু হয়েছিল বছর দুয়ের আগেই। আমেরিকা ও কানাডায় নিষিদ্ধ হয়েছে বছর দুয়েক আগেই । এবার বিশ্ব বাজার থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে জনসনের এই প্রোডাক্ট। ২০২৩ সাল থেকে আর বেবি পাউডারের দেখা মিলবে না। কারণ তাদের বিক্রিই বন্ধ করে দিচ্ছে কোম্পানি না। 

যদিও নিজেদের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন না তারা। এই পাউডারটি বন্ধ করলেও তাদের প্রোডাক্টটিকে তারা কর্নস্টার্চ-ভিত্তিক বেবি পাউডার হিসেবে রূপান্তরিত করবে বলে জানিয়েছে। 


জনসনের বেবি পাউডার নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। কয়েক বছর ধরেই চলছে একাধিক মামলাও। 

তথ্য বলছে, এই অ্যাসবেস্টস শিশু শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। শরীরের ভিতরে কোনওভাবে সংস্পর্শে এলে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা ও কানাডা আগেই নিষিদ্ধি করেছিল এই পাউডার। এবার আমেরিকায় চলতে থাকা একাধিক ক্রেতা সুরক্ষা মামলার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জনসন কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ বেবি পাউডার বিক্রি শুরু হয়েছে সেই ১৮৯৪ সাল থেকে। সেই শুরু কিন্তু

কিন্তু বছর তিনেক আগে ওঠে সাংঘাতিক অভিযোগ। আমেরিকার ৩৫ হাজার মহিলার জরায়ুর ক্যানসারের জন্য দায়ী হিসেবে দেখা যায় এই পাউডারের ব্যবহার। তার পরেই ওই সংস্থাকে দায়ী করে মামলা দায়ের হয় একের পর এক। আমেরিকার এক আদালত সংস্থাকে ১৫ হাজার কোটি টাকার জরিমানার ‘সাজা’ও দিয়েছিল। সঙ্গে জানিয়েছিল, মারাত্মক অপরাধ করছে জনসন। কোনও অঙ্কের জরিমানাতেই এই ক্ষতির পূরণ হয় না। এসবের মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই কমে যায় বিক্রিও। ২০২০ সালে বন্ধই হয়ে যায় এই পণ্য।