তী‍ব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৭.১ সুনামি সতর্কতা জারি করেছেন জাপান প্রশাসন

তী‍ব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.১ বলে জানা গিয়েছে।ভূমিকম্পটির উৎসস্থল ছিল জাপানের দক্ষিণ উপকূলের দ্বীপ কিউশু। জোরালো এই ভূমিকম্পের পরেই সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, জাপানের দক্ষিণ উপকূলের দুই দ্বীপ কিউশু এবং শিকোকুতে সমুদ্রের ঢেউ ১ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত উঠতে পারে।

ভূমিকম্পটির উৎসস্থল কিউশু দ্বীপে মাটির ৩০ কিলোমিটারে গভীরে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, কিউশু দ্বীপের মিয়াজাকিতে ইতিমধ্যেই সমুদ্রের ঢেউ ২০ সেন্টিমিটার উচ্চতা পর্যন্ত উঠছে। এরপর জাপান প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সবাইকে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে । সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার অল্প সময়ের মধ্যে দু’বার ভূমিকম্প হয় জাপানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের জী‍ব্রতা ছিল যথাক্রমে ৬.৯ এবং ৭.১ মাত্রায়। যার ফলে কেঁপে ওঠে দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের কিউশু এবং শিকোকু এলাকা। এর পরেই সুনামি সতর্কতা জারি হয়েছে বেশ কিছু এলাকায়।

ভূমিকম্পের পর ওই সমস্ত উপকূল ফাঁকা করার কাজ শুরু করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সুনামি সতর্কতা জারি হয়েছে মিয়াজাকি, কোচি, ওইতো, কাগোশিমা এবং এহিমাতে। ইতিমধ্যে মিয়াজাকিতে সমুদ্রে ২০ সেন্টিমিটারের বেশি উঁচু ঢেউ দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে কিউশু এবং শিকোকুতে এক মিটারের বেশি উঁচু ঢেউ দেখা গিয়েছে। ভূমিকম্পের পরেই জাপানের আবহাওয়া দপ্তর এক্স হ্যান্ডেলে লেখে, “একাধিকবার সুনামি দেখা দিতে পারে উপকূল অঞ্চলগুলিতে। দয়া করে আপাতত সমুদ্রে নামবেন না, উপকূল অঞ্চলে যাবেন না। যতক্ষণ না সতর্কতা তুলে নেওয়া হচ্ছে।”


প্রসঙ্গত, জাপান বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। ১২৫ মিলিয়নের দেশে প্রতি বছর দেড় হাজার বার ভূমিকম্প হয়। তবে অধিকাংশই মৃদু ভূমিকম্প। চলতি বছরের শুরুতেও তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল জাপান। যার ফলে অন্ততপক্ষে ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ঘরছাড়া হন ২৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে সাম্প্রতিক অতীতে সবচেয়ে ভয়ংকর ভূমিকম্পটি হয়েছিল ২০১১ সালের মার্চ মাসে। সেবার উত্তর-পূর্ব উপকূলে সমুদ্রের নিচে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। সুনামির জেরে মৃত্যু হয়েছিল কমপক্ষে ১৯ হাজার মানুষের।