গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইজরায়েল। রাতভর হামলায় ফের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইজরায়েলের হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৭ শিশু-সহ ২৩ জনের। আহত বহু। নাসের হাসপাতালে ইজরায়েল সেনাবাহিনীর বোমাবর্ষণের পর নতুন করে হামলা চালানো হয়। সাময়িক যুদ্ধবিরতির পর গত মঙ্গলবার গাজায় অতর্কিতে হামলা শুরু করে ইজরায়েলি বাহিনী। এই নিয়ে টানা ৮ দিন গাজায় হামলা চালাল ইজরায়েলি সেনা। হতাহতরা দক্ষিণ এবং মধ্য গাজার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে সোমবার সিরিয়ার দু’টি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় ইজরায়েল। ইজরায়েলের এই হামলা নিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিবিদ কাজা কল্লাস। তিনি জানান, সিরিয়ায় বাশার-আল-আসাদ সরকারের পতনের পর ইজরায়েলের উপর আক্রমণ চালায়নি সিরিয়া। সেক্ষেত্রে ইজরায়েল হামলা চালিয়ে গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে সতর্কবার্তা দেন তিনি।
রবিবার রাতে দক্ষিণ গাজার নাসের হাসপাতালে হামলা চালায় ইজরায়েলের সেনা। আগুন ধরে যায় হাসপাতালে। যুদ্ধে গুরুতর আহত বহু মানুষের চিকিৎসা চলছিল নাসের হাসপাতালে। সেই সময়ে হামলা চালায় ইজরায়েলের সেনাবাহিনী। হাসপাতালের অস্ত্রোপচার বিভাগের উপর বোমা পড়ে। সেখানে আগুন ধরে যাওয়ায় ফের বহু রোগী জখম হন। মৃত্যু হয় এক জনের।
২০২৩ সাল থেকে ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধ শুরু হয়েছে। প্রায় ১৮ মাসব্যাপী এই যুদ্ধে গত জানুয়ারি থেকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে ইজরায়েলি সেনা। ফের নতুন করে হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কয়েকশো। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, সকল পণবন্দিকে মুক্ত না-করা পর্যন্ত এবং হামাসের সম্পূর্ণ বিনাশ না-দেখা পর্যন্ত তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন।