গাজা, ১০ জুলাই – ফের গাজার স্কুলে ভয়াবহ আঘাত হানল ইজরায়েল। শনিবার ইজরায়েলি ফৌজের রকেট হানায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২৯ জনের। ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন প্যালেস্টাইন সেনার হামলায় ঘরছাড়া মানুষরা। পর পর চারদিন এই হামলার ঘটনা ঘটল। হামাস এই হামলার পিছনে ইজরায়েলকে দায়ী করছে। ইজরায়েলের তরফেও এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়নি। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে তেল আভিভের তরফে জানানো হয়, তাদের সেনা ওই অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। বাকি হামলার কথাও স্বীকার করেছে ইজরায়েল।
এক প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে এদিনের হামলার বিষয়ে জানাতে গিয়ে বলেন, ”আমরা স্কুলের প্রবেশদ্বারের সামনে বসেছিলাম। হঠাৎ কোনও হুঁশিয়ারি ছাড়াই আচমকা আছড়ে পড়ে রকেট।” ইজরায়েলের তরফে পরে বলা হয়েছে, স্কুলটির কাছেই একটি হামাস ঘাঁটিতে হামলা চালানোর উদ্দেশ্য ছিল। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তেল আভিভ জানিয়েছে ।
গত ১০ মাস ধরে হামাসদের নিশ্চিহ্ন করতে গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। অভিযান শুরু করার পর থেকে ইহুদি দেশটির সেনার অভিযোগ ছিল, গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল, স্কুল, ধর্মীয় স্থানে লুকিয়ে রয়েছে হামাস জঙ্গিরা। সেখান থেকেই তাঁরা নানা সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম চালাচ্ছে , সেনার উপর হামলা চালাচ্ছে। ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে এই অভিযোগের সাপেক্ষে যুক্তিও দিয়েছে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।
প্রসঙ্গত, গাজা ভূখণ্ড জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে হামাস জঙ্গিদের সুড়ঙ্গ। গত ১০ মাস ধরে যুদ্ধে মাটির নিচের সেই ডেরাগুলো গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। এবার ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ হামাসের টানেল ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সুড়ঙ্গে খতম করা হয়েছে শতাধিক হামাস জঙ্গিকে।