বড় ধাক্কা খেল প্যালেস্টাইন। হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইজরায়েল। বুধবার দক্ষিণ গাজায় এক অভিযান চালিয়ে ইয়াহিয়াকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মাসখানেক আগেই ইজরায়েলি হানায় প্রাণ হারান প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রাক্তন প্রধান ইসমাইল হানিয়া। তাঁর মৃত্যুর পরপরই সিনওয়ার হত্যার বিষয়টি আর বড় ধাক্কা দিল হামাসকে।
২০২৩ সালে অক্টোবর মাসে ইজরায়েল হামলার মূল চক্রী ছিল এই ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ওই হামলায় প্রায় ১২০০ জন প্রাণ হারান। পণবন্দি করা হয় ২৫০ জনকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট কর্নেল হারজি হালেভি বলেন, পুরো এক বছর ধরে চেষ্টা চালানোর পর আমাদের বাহিনী হামাস জঙ্গি সংগঠনের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করেছে। বহু ইসরায়েলিকে গণহত্যা ও অপহরণে যুক্ত ছিল সিনওয়ার। গাজা উপত্যকায় সংঘর্ষে যে বাহিনী সিনওয়ারকে খতম করেছে, তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি।
অন্যদিকে ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত–এর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর ৮২৮-তম অভিযানে দক্ষিণ গাজায় তিনজন নিহত হন। ওই তিনজনের দেহ শনাক্তের পরই ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি হামাস।
হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের হত্যাকে গাজা যুদ্ধের ‘শেষের শুরু’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎস এক বিবৃতিতে বলেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হত্যাকাণ্ড ও নিষ্ঠুরতার জন্য ইয়াহিয়া সিনওয়ার দায়ী। তাঁকে হত্যা করাটা ইজরায়েলের বাহিনীর জন্য নিঃসন্দেহে একটি বিরাট সাফল্য।
চলতি বছরের জুলাইয়ে ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সময় তেহরানে প্রাণ হারান হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এরপরই তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন সিনওয়ার। ইসরায়েলের দাবি, ৬১ বছর বয়সী সিনওয়ারকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। গাজার বিস্তৃত টানেল নেটওয়ার্কে আত্মগোপন করেছিলেন তিনি। বিশেষ বাহিনী তাঁকে ঘিরে থাকত সবসময়।