তখনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল বের হয়নি। তখনও আমেরিকার ৪৬ তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে উঠে আসেনি জো বাইডেনের নাম। তবে ডােনাল্ড ট্রাম্পের ভােটে জেতা যে অনেক দূরের ব্যাপার শনিবার রাত থেকেই টুইটার তার আঁচ দিচ্ছিল।
কারণ এই সময় টুইটারে ট্রেন্ডিং হয়ে ওঠে লুজার হ্যাশটাগ। আর টুইটারে লুজার শব্দটি লিখলেই ব্যবহারকারীরা পাচ্ছিলেন ডােনাল্ড ট্রাম্পের নাম। এখন প্রশ্ন উঠছে ভােটের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের আগে কী কারণে লুজার শব্দটি লিখলেই ডােনাল্ড ট্রাম্পের নাম আসছে? কেন এমন সার্চ রেজাল্ট তা ফলাফল বের হওয়ার ১২ ঘণ্টা পরেও চলছে আলােচনা।
আসলে বেশ কয়েকটি বড় সংবাদমাধ্যম জানিয়ে দেয় আমেরিকার মানুষরা ট্রাম্পের বিরােধী দল অর্থাৎ ডেমােক্রেটের জো বাইডেনের হাতেই দেশের শাসন ভার তুলে দিতে চলেছেন। সেই খবরগুলির প্রায় সবই টুইটারে পােস্ট করা হয়। আর সে কারণেই এমনতর রেজাল্ট।
ঠিক আবার একইভাবে টুইটারের পিপল ট্যাব থেকে উইনার সার্চ করলে তার ফলাফলে কখনও জো বাইডেন আবার কখনও কমলা হ্যারিসের টুইটার একাউন্ট দেখানাে হচ্ছিল। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন জেতায় কোথাও কি টুইটারের হাত রয়েছে?
সংস্থার তরফে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে এগুলি আসলে অটোমেটিক জেনারেটেড। ইউজাররা ঠিক যে অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন এবং বিভিন্ন সময় যে সব টুইট অধিক জনপ্রিয় হয় সেই নিরিখেই উঠে আসে সার্চ রেজাল্ট।
সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, যদি কোনও একাউন্টে প্রায়শই নির্দিষ্ট টার্মগুলি ব্যবহার করা হয় তবে তারা অ্যাসােসিয়েশন হিসাবে একত্রে টুইটারের অ্যালগরিদমের কারণেই ট্রেন্ডিং হয়ে ওঠে। ব্যবহারকারীরা কী করে টুইট করেন, তার ওপর ভিত্তি করে এই ধরনের অস্থায়ী টুইটগুলি ট্রেন্ডিং হয়। সেগুলি পরিবর্তিত হতে থাকে সময় সময়।