পদত্যাগ করলেন আয়ারল্যান্ডের ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী
SNS
ডাবলিন, ২১ মার্চ – পদত্যাগ করলেন আয়ারল্যান্ডের ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকর। বুধবার তিনি নিজেই ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এরপরই গোটা দেশজুড়ে আলোড়ন শুরু হয়। কেন তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়ে গুঞ্জন ওঠে। যার উত্তরে ভারাদকর জানান, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ করার যোগ্যতা তাঁর আর নেই। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বুধবার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ ও তাঁর দল ফাইন গেইলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা করেন ভারাদকর।
আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনের সরকারি ভবন থেকে বিবৃতি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকর। সেখানে এক বক্তৃতায় ভারাদকর বলেন, “আমি আজ আমার কার্যকরী সভাপতি ও নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করছি। আমার উত্তরসূরি এলে যত দ্রুত সম্ভব টিশুক পদ থেকেও ইস্তফা দিয়ে দেব। আমি জানি কখন ব্যাটন অন্যের হাতে তুলে দিতে হয়। সেই সময় উপস্থিত ।” ভারাদকরের বিশ্বাস, আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনের জন্য তাঁর থেকেও ভালো কেউ আসবেন যিনি ফাইন গেইলের হয়ে সর্বাধিক আসনে জয়লাভ করবেন। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীকে আয়ারল্যান্ডে টিশুক নামে ডাকা হয়।
নিজের পদত্যাগের কারণ নিয়ে ভারাদকর বলেন, “ইস্তফা দেওয়ার পিছনে আমার ব্যক্তিগত এবং মূলত রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। ৭ বছর আমি এই অফিসে কাজ করেছি। কিন্তু আমি মনে করি না আমি ওই পদে কাজ করার যোগ্য। আমার পক্ষে যা যা করা সম্ভব ছিল আমি করেছি। টিশুক পদ উপভোগও করেছি। কিন্তু আমাদেরও কিছু বাধ্যবাধকতা আছে।” তিনি আরও বলেন, “আমি দেশের জন্য গর্ববোধ করি। আজ এখানে শিশু, এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানুষজন, নারী সকলেই সমান অধিকার পাচ্ছেন।”
২০১৭ সালে ৩৮ বছর বয়সে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভারাদকর। সেই সময় তিনিই ছিলেন বিশ্বের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী। মাত্র ২২ বছর বয়সেই রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন চিকিৎসক ভারাদকর। ২৭ বছর বয়সে সাংসদ নির্বাচিত হন। ভারাদকরের বাবা অশোক ভারাদকর জন্মসূত্রে ভারতীয়। তাই মহারাষ্ট্রের গ্রামের বাড়িতে তাঁর যাতায়াত ছিল। এমনকী মুম্বইয়ের কেইএম হাসপাতাল থেকে ইন্টার্নশিপও করেন তিনি। তাঁর ইস্তফার পর আয়ারল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হন সেটাই এখন দেখার