তেহরান, ২৮ সেপ্টেম্বর-– মাহসা আমিনিকে হিজাব না পরার ‘শাস্তি’ দিতে পিটিয়ে খুন করে পুলিশ। সেই ঘটনার প্রতিবাদে রাজপথে নামতে দেখা গিয়েছে ইরানের কাতারে কাতারে মানুষকে। পুলিশের গুলিতে প্রতিবাদীদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও ক্রমেই বেড়ে চলেছে প্রতিবাদ। যা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। ইরানের সঙ্গে এবার নাম জুড়ল তুরস্কের। এক গায়িকা হিজাব কাণ্ডের প্রতিবাদে মঞ্চের উপরেই চুল কেটে ফেললেন।
মেলেক মোসো নামের ওই গায়িকাকে দেখা গিয়েছে মঞ্চের উপরে দাঁড়িয়ে একটি কাঁচি দিয়ে নিজের চুল কাটতে। এর আগেও এই ভাবে চুল কেটে অনেককেই প্রতিবাদ জানাতে দেখা গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গেই নিজেকে যুক্ত করলেন তুরস্কের ওই গায়িকা।
এদিকে ইরানে হিজাব কাণ্ডে প্রতিবাদের তীব্রতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পুলিশি দমন পীড়ন। এমনকী, হিজাব পরিহিতা মহিলা পুলিশকেও কাজে লাগিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে ইরানের প্রশাসন। বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ৭৫ জন প্রতিবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। ইরানের ৪৬টি শহরে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এই সংখ্যা মানতে নারাজ ইরানের সরকার। তাদের তরফে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত হিজাব কাণ্ডের প্রতিবাদে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের এবং তাদের মধ্যে অধিকাংশই পুলিশ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশের সর্বত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট। সেই সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম-সহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। ফলে ইরানের প্রকৃত চিত্র কোনওভাবেই বিশ্বের সামনে প্রকাশ পাচ্ছে না। বাড়ছে উদ্বেগ।