• facebook
  • twitter
Wednesday, 13 November, 2024

ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করল ইরান, সম্পর্ক দৃঢ় করার ডাক ইরানের বিদেশমন্ত্রীর 

আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইরানের এক নাগরিককে অভিযুক্ত করেছে দেশটির বিচার বিভাগ। তবে সেই অভিযোগ নস্যাৎ করেছে ইরান। ইরানের পক্ষ থেকে এই সমস্ত অভিযোগ 'মিথ্যা প্রচার' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে আমেরিকা ও ইরান, এই দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করার ডাক দিয়েছেন  ইরানের বিদেশমন্ত্রী।আমেরিকার বিচার বিভাগ অভিযোগ করেছে, ইরানের কর্মকর্তারা ফরহাদ শাকেরি নাম এক ব্যক্তিকে ট্রাম্পকে হত্যার পরিকল্পনার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইরানের এক নাগরিককে অভিযুক্ত করেছে দেশটির বিচার বিভাগ। তবে সেই অভিযোগ নস্যাৎ করেছে ইরান। ইরানের পক্ষ থেকে এই সমস্ত অভিযোগ ‘মিথ্যা প্রচার’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে আমেরিকা ও ইরান, এই দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করার ডাক দিয়েছেন  ইরানের বিদেশমন্ত্রী।আমেরিকার বিচার বিভাগ অভিযোগ করেছে, ইরানের কর্মকর্তারা ফরহাদ শাকেরি নাম এক ব্যক্তিকে ট্রাম্পকে হত্যার পরিকল্পনার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে তাঁকে আমেরিকা ও ইজরায়েলের নাগরিকদের উপর হামলা চালানোর দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল। শাকেরিকে আফগান নাগরিক হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে, যিনি বর্তমানে তেহরানে বসবাস করছেন। ২০০৮ সালে আমেরিকায় দীর্ঘদিনের কারাদণ্ড শেষ হওয়ার পর তাঁকে দেশে পাঠানো হয়েছিল। ইরানের বিদেশমন্ত্রীর দাবি, ট্রাম্পের হত্যার পরিকল্পনা কষার অভিযোগে ধৃত ব্যক্তির বাস্তবে কোনও অস্তিত্বই নেই। বিশেষজ্ঞ মহলের অনুমান, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এখন সুর নরম করছে ইরান। 

 
আমেরিকার প্রশাসনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, শাকেরিকে জেরা করে জানা যায় যে, ট্রাম্পের উপর  হামলা করার জন্য তাঁকে সময় বেঁধে দিয়েছিল ইরানের আইআরজিসি। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ট্রাম্পের উপর হামলা চালাতে রাজি হননি শাকেরি। হামলার দিন হিসাবে আইআরজিসি ৭ অক্টোবরকে বেছে নেয় বলেও ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়।

 
শনিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘায়ী এই সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘ এই ধরণের দাবি আসলে একটি ষড়যন্ত্র, যা ইজরায়েলপন্থী এবং ইরানবিরোধী মহল দ্বারা পরিচালিত। এর উদ্দেশ্য হল, আমেরিকা ও ইরানের সম্পর্ককে আরও জটিল করে তোলা।’   
 
আমেরিকার দাবি ছিল , ট্রাম্পকে হত্যার ছক করে ইরান। এই ঘটনায় ফরহাদ শাকেরি নামে এক ইরানিকে গ্রেফতার করার দাবিও তোলে তারা। আমেরিকার পুলিশের দাবি, ধৃত ব্যক্তি জেরায় স্বীকার করেছেন যে, গত ৭ অক্টোবর ট্রাম্পের উপর হামলার ছক কষা হয়েছিল। আর এই অভিযোগ উঠেছে ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড-এর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগই খারিজ করেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে লেখেন, ‘একটা দৃশ্য তৈরি করা হয়েছে। একজন খুনি, যার বাস্তবে অস্তিত্বই নেই, তাকে এনে নিম্নমানের কমেডি তৈরি করছেন চিত্রনাট্যকারেরা।’
 
আরাকচি দুই দেশের সম্পর্ক সহজ করার কথা বলেছেন। তিনি এও জানিয়েছেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধার মাধ্যমেই তা হওয়া সম্ভব। এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘আমেরিকার নাগরিকেরা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইরান তাঁদের সেই পছন্দের প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়ার অধিকারকে সম্মান করে। সামনের পথও বাছতে হবে, যা পারস্পরিক সম্মানের মাধ্যমে শুরু করা সম্ভব।’  আরাকচি আরও জানান, শুধু পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য ইরান পড়ে নেই। প্রসঙ্গত, ইজরায়েল-ইরান সংঘাতের সময় ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি সরাসরি কটাক্ষ করেছিলেন ইরানকে।
 
নির্বাচনের আগে ট্রাম্পকে দুই বার হত্যার চেষ্টা করা হয়।  জুলাই মাসে পেনসিলভেনিয়ায় এক সমাবেশে টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। একটি গুলি ট্রাম্পের কান স্পর্শ করে। ঘটনাস্থলেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করে সিক্রেট সার্ভিস। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে ফ্লোরিডা গল্ফ কোর্সে ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করে রায়ান ওয়েসলি রাউথ নাম এক ব্যক্তি। নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে ধরা পড়েন তিনি।