দ্বিতীয় দফার ফলাফলে ইরানের সর্বোচ্চ শাসক পেজেশকিয়ান

তেহরান, ৭ জুলাই– নতুন প্রেসিডেন্ট পেল ইরান৷ প্রতিপক্ষ চরমপন্থী নেতা সৈয়দ জালিলিকে হারিয়ে ইরানের ক্ষমতায় এলেন সংস্কারপন্থী নেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান৷ আজ, শনিবার, দ্বিতীয় দফার ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে ইরানের নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র মোহসেন ইসলামি বলেন, এই দফায় ভোটারদের উপস্থিতি ৪৯.৮ শতাংশ৷ সংস্কারপন্থী নেতা পেজেস্কিয়ানের এগিয়ে থাকার কথা জানায় ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ তবে দেশের প্রেসিডেন্ট কে হবেন তা নিয়ে শেষ কথা বলবেন সুপ্রিম লিডার খামেনেই৷ তবে তিনি নির্বাচনের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে এই দ্বিতীয় দফার ভোটের আহ্বান জানান৷ খামেনেই জানান, ‘প্রথম পর্বের ভোটগ্রহণ প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল৷ এই প্রক্রিয়া নিয়মবিরুদ্ধ নয়৷”
ঐতিহাসিক এই জয়ের পর পেজেশকিয়ান দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মঞ্চে সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করা আমরা প্রধান লক্ষ্য৷ আমরা সবাই এদেশের মানুষ, দেশের উন্নয়নে সবাইকে কাজে লাগাতে হবে৷’
বলে রাখা ভালো, ইরানের নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী জয়লাভ করার জন্য প্রার্থীকে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে৷ কিন্ত্ত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের কারও ঝুলিতেই সেই সংখ্যক ভোট পড়েনি৷ গত ২৮ জুন, শক্রবার, প্রেসিডেন্ট পদের জন্য একদফা ভোটপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় ইরানে৷ কিন্ত্ত তার ফলাফল দাঁড়ায় ত্রিশঙ্কু৷ ইরানের নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী জয়লাভ করার জন্য প্রার্থীকে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে৷ কিন্ত্ত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের কারও ঝুলিতেই সেই সংখ্যক ভোট পড়েনি৷ ফলে ৫ জুলাই শুক্রবার, ফের দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হয় সেদেশে৷ এদিন মোট ভোট পড়ে ৩ কোটি৷ যার মধ্যে চরমপন্থী জালিলির ঝুলিতে যায় ১ কোটি ৩০ লক্ষের উপর ভোট৷ কিন্ত্ত তাঁকে পিছনে ফেলে ১ কোটি ৭০ লক্ষের উপর ভোট নিয়ে এগিয়ে যান সংস্কারপন্থী পেজেস্কিয়ান৷  প্রথম দফার নির্বাচন শেষে দেখা যায় পেজেস্কিয়ান ৪২. ৫ শতাংশ ও জালিলি ৩৮. ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন৷ তৃতীয় হয়ে প্রেসিডেন্ট পদের দৌড় থকে ছিটকে যান ইরানি পার্লামেন্টের স্পিকার মহম্মদ বাঘের ঘালিবাফ৷ অর্থাৎ ৫০ শতাংশের ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেননি কেউই৷ ফলে শনিবার নির্বাচন হয় ইরানে৷ এই ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই ছবিটা পরিস্কার হয়ে যায় সকলের সামনে৷
সম্প্রতি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ইব্রাহিম রাইসি৷ দেশের মসনদে কে বসবেন, তারপর সে নিয়েই শুরু হয় জল্পনা৷ অবশেষে সেই জল্পনার অবসান ঘটল ৷