গত ডিসেম্বরে চিনের উহান থেকে শুরু হয় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত তা ২১০’টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ লক্ষের বেশি। মারা গিয়েছে দু’লক্ষের বেশি মানুষ। আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশে অতিমহামারীর ফলে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা শুরুতেই অন্যান্য দেশকে করোনাভাইরাসের কথা জানায়নি। মহামারীর কথা গোপন করে গিয়েছে। যদি তা না করত, তাহলে এত মানুষ মরত না। তথ্য গোপন করার জন্য জার্মানি ইতিমধ্যে চিনের কাছে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ চেয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছে, চিনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে আমেরিকা। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, তিনি চিনের থেকে জার্মানির চেয়ে বেশি অঙ্কের ক্ষতিপূরণ আদায় করতে চান। জার্মানি চিনের কাছে ১৩ হাজার কোটি ইউরো অর্থাৎ ১ হাজার ৭৪ কোটি টাকার বেশি ক্ষতিপূরণ চেয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, জার্মানি ক্ষতিপূরণ চাইছে। আমরাও চাইছি। আমরা জার্মানির চেয়ে বেশি পরিমাণে ক্ষতিপূরণ চাইব। । ট্রাম্প রোজ গার্ডেনের সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, জার্মানি ঠিক করেছে, অতিমহামারীর জন্য তাদের যে ক্ষতি হয়েছে, সেজন্য চিনকে ১৩ হাজার কোটি ইউরোর বিল পাঠাবে।
ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, আপনারাও কি ক্ষতিপূরণ আদায়ের কথা ভাবছেন? তিনি বলেন, আমরা আরও সহজ পথ অবলম্বন করব। কী পরিমাণে অর্থ চাই, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। পরে তিনি বলেন, আপনারা যদি সারা বিশ্বের দিকে লক্ষ রাখেন, দেখবেন, শুধু আমেরিকায় নয়, সর্বত্রই ক্ষতি হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, এই ক্ষতির জন্য চিনকে অনেকভাবে দায়ী করা যায়। আপনারা হয়তো জানেন, আমরা খুব গুরুত্ব দিয়ে চিনের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছি। চিনের কাজকর্মে আমরা একেবারেই খুশি নই। ট্রাম্পের বক্তব্য, আমরা মনে করি, অনেক আগেই এই ব্যাপারটা বন্ধ করা যেত। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে আমরা মোটেই খুশি নই। আরও আগে ব্যবস্থা নিলে রোগটা বিশ্ব জুড়ে ছড়াতে পারত না।
আমেরিকায় ক্রমশ চিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জোরালো হয়ে উঠছে। সেনেটর সিন্ডি হাইড স্মিথ লিখেছেন, অতিমহামারীর শুরুতে চিন সকলকে মিথ্যা কথা বলেছিল। ব্যাপারটা গোপন রাখার জন্য আমরা তাদের দায়ী করতে পারি।
গত সোমবার কংগ্রেসম্যান আর্ল এল বাডি কার্টার প্রস্তাব দেন, ২০১৯ সালে চিন কীভাবে করোনাভাইরাসের মোকাবিলা করেছিল, তা নিয়ে তদন্ত হোক। সেজন্য তৈরি হোক জয়েন্ট সিলেক্ট কমিটি। কার্টারও মন্তব্য করেন, আমরা জানি, চিন কোভিড ১৯ সম্পর্কে প্রথম থেকেই তথ্য গোপন করে আসছে।