ইন্দোনেশিয়ার যাত্রীবাহী বিমানের মর্মান্তিক পরিণতি নাড়িয়ে দিয়েছে গােটা বিশ্বকে। ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। পাশাপাশি কেন ভেঙে পড়লাে বিমান, তারও তদন্ত চলছে। তবে প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের আশঙ্কা, সমুদ্রে আছড়ে পড়ার পরেই দু’টুকরাে হয়ে গিয়েছিল শ্রীবিজয়া এয়ার সংস্থার বিমান ফ্লাইট ১৮২।
এক সাক্ষাৎকারে নুকায়হাে উতােমাে নামে এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, আমরা এখনও সঠিকভাবে বলতে পারছি না। তবে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ কিন্তু কাছাকাছি জায়গা থেকেই পাওয়া গিয়েছে। তাই এমনটা হতে পারে জলে আছড়ে পড়ার পরে সেটি দু’টুকরাে হয়ে গেছে।
এর আগে রবিবার বােয়িং ৩৭০-৫০০ বিমানটির দুটো ব্ল্যাকবক্স সহ আরও কিছু অংশ জাভা সমুদ্র থেকে উদ্ধার করেন ডুবুরিরা। জলের ৭৫ ফুট নিচে পাওয়া গিয়েছে ওই ধ্বংসাবশেষ।
ইন্দোনেশিয়ার বিমান সংস্থা শ্রীবিজয়া এয়ারলাইন্সের ওই বিমানে যাত্রী ও ক্রুসহ ৬২ জন ছিলেন। ডুবুরিরা জানিয়েছেন, জলের তলায় সব কিছুই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। যার জন্য বিমানের কিছু অংশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আমরা নিশ্চিত ওই জায়গাতেই বিমান ভেঙে পড়েছিল, এক বৃিতিতে বলেছেন এয়ার চিফ মার্শাল হাদি জাজান্তো।
তিনি আরও জানান, ধ্বংসাবশেষের মধ্যে রয়েছে বিমানের ভগ্নাবশেষ এবং বিমানের রেজিস্ট্রেশনের অংশ। তার আগে সমুদ্রের ওপর থেকে দেহের অংশ, ছেড়া জামাকাপড় এবং ধাতুর টুকরাে খুঁজে পেয়েছিলেন উদ্ধারকারীরা।
নিখোঁজ বিমানটি খুঁজে পেতে সাহায্য করে নৌবাহিনীর জাহাজের সেনার প্রযুক্তি। শনিবার দুপুরে বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার আগে যে জায়গা থেকে তার শেষ সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছিল, সেখান থেকে সিগন্যাল পায় নৌবাহিনীর জাহাজ। কেন বিমানটি ভেঙে পড়লাে তা এখনও স্পষ্ট নয়।