আমেরিকা সফরে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি এবারই প্রথম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করলেন। পশ্চিম এশিয়া এবং বিশেষত আফগানিস্থানের তালিবান ক্ষমতায় আসার পর প্রতিবেশী বলয়ে নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক জটিলতা বেড়েছে। সেই আবহে এই দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এই দিনের বৈঠকে বাইডেনের প্রশাংসায় মােদি বলেন, ২০১৫, ২০১৬ সালে আপনার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলার সুযােগ পেয়েছিলাম। ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক নিয়ে আপনার দিক-নির্দেশ অনুপ্রেরণা যােগায়। এদিন বাইডেনও বলেন, আমেরিকাকে প্রত্যেক দিন আরও শক্তিশালী করে তুলছে ৪০ লক্ষ প্রবাসী ভারতীয়। আমি দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বাস করি ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক বিশ্বের অনেক সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
২০২০ সালে ভারত-আমেরিকার বন্ধন আরও মজবুত হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠক করেন। এই বৈঠকেই স্বতঃপ্রণােদিতভাবে কমলা হ্যারিস সন্ত্রাসে পাকিস্তানের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
বৈঠকে কমলা বলেন, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে যে সন্ত্রাসবাদী গােষ্ঠী রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদকে জানিয়েছেন। এই সন্ত্রাসবাদ গােষ্ঠী ভারত ও আমেরিকার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যাতে বিপদ না হয়ে দাঁড়ায়, এমন বার্তাই দেওয়া হয়েছে তাদের তরফে।
এদিনের বৈঠকে ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা নিয়ে বিশদে আলােচনা হয়েছে। আফগানিস্তান প্রসঙ্গ, গণতন্ত্রের উপর হামলা, সেই সঙ্গে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পরিস্থিতি কমলা মােদির বৈঠকে বিশেষ প্রাধান্য পায়।