দিল্লি- বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল্লা ইয়ামিন বন্ধু দেশের সংজ্ঞা বদলে ফেলেছেন। ভারতকে ছেড়ে এখন চিনের সঙ্গে দোস্তি করেছে মালদ্বীপ। যা নিয়ে সরকার বিরোধিরা ক্রমাগত ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছে।
ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রটি সঙ্কটের মূহুর্তে বন্ধু দেশগুলির কাছে দূত পাঠানোর কথা ভেবেছে। এবং সবচেয়ে আশ্চর্যের সেই তালিকায় নাম নেই ভারতের।
মালদ্বীপ দূত পাঠাবে চিন, পাকিস্তান এবং সৌদি আরবের কাছে। এই তিন দেশের কাছে গিয়ে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে হাল-হকিকত জানাবে মালদ্বীপের সরকারি দূতেরা।
মালদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ নাশিদি দুদিন আগেই এই সঙ্কটের মূহুর্তে নয়াদিল্লির কাছে সাহায্য চেয়ে আবেদন করেন। এক্ষেত্রে চিনকে সরিয়ে ভারতকে প্রাধান্য দেন ও জানিয়ে দেন এই সমস্যা একমাত্র ভারতই সমাধান করতে পারবে।
এই প্রেক্ষিতে চিন জানিয়ে দেয়, মালদ্বীপে হস্তক্ষেপ করলে তা ভালো হবে না। অর্থাৎ ভারত এবিষয়ে নাক গলাক তা চায়না চিন। আবদুল্লা ইয়ামিনের সরকার ভারতের দিক থেকে চিন ও সৌদি আরবের দিকে ঝুঁকেছে।
এই দুটি দেশই ছোট দ্বীপরাষ্ট্রে বড় বিনিয়োগ করেছে। চিনের সঙ্গে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করেছে ইয়ামিনের সরকার। আর তাই বন্ধু দেশের তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ভারতের নাম।
ঘটনা হল, কয়েকদিন ধরে মালদ্বীপে রাজনৈতিক সঙ্কট চলছে সেনাবাহিনীর হাতে চলে গিয়েছে ক্ষমতা। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জেলবন্দি মহম্মদ নাসিদ সহ বিরোধী নেতাদের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল।
তার বিরোধিতায় শুধু জরুরি অবস্থা জারিই নয়, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকেও গ্রেফতার করিয়েছেন আবদুল্লা ইয়ামিন। সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে মালদ্বীপ একসময়ের বন্ধু ভারতকে ভুলে গিয়ে চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।