• facebook
  • twitter
Sunday, 23 March, 2025

দক্ষিণ চিন সাগরে লালফৌজকে রুখতে ‘স্কোয়াড’-এ সামিল ভারত!

বাইডেনের প্রশাসনে স্কোয়াড জোটে ব্রাত্য ছিল দিল্লি। এবার এই সামরিক জোটে ভারতের পাশাপাশি আমন্ত্রণ করা হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়াকেও।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

দক্ষিণ চিন সাগরে ড্রাগনের দাদাগিরি রুখতে এবার মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ‘স্কোয়াড’-এ ভারতকে আমন্ত্রণ জানাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। আপাতত ‘স্কোয়াড’-এর সদস্য সংখ্যা চার। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং ফিলিপিন্সের পর ড্রাগনকে দুর্বল করতে স্কোয়াডের সদস্য সংখ্যা বাড়াতে চান ট্রাম্প। কারণ আমেরিকা এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল যে, চিনকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় রুখতে হলে ভারতকে পাশে দরকার।  

বাইডেনের প্রশাসনে স্কোয়াড জোটে ব্রাত্য ছিল দিল্লি। এবার এই সামরিক জোটে ভারতের পাশাপাশি আমন্ত্রণ করা হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়াকেও। সম্প্রতি ফিলিপিন্সের সেনাপ্রধান জেনারেল রোমিও এস ব্রাউনার দিল্লিতে একটি আলোচনা সভায় যোগ দিতে এসে এমনই ইঙ্গিত করেছেন। ফিলিপিন্সের সেনাপ্রধান স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের দাদাগিরি রুখতে আমরা আগামী দিনে স্কোয়াডকে সম্প্রসারিত করতে চাই। এর জন্য ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমরা ভারতকে পাশে চাই। কারণ আমরা মনে করি আমাদের শত্রু একজনই এবং সেটা হল চিন। আমরা সকলেই ওই দেশের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। তাই এই মুহূর্তে আমাদের একজোট হওয়া খুবই প্রয়োজন।’ 

উল্লেখ্য ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আধিপত্য রুখতে ২০০৭ সালে চার দেশীয় অক্ষ কোয়াড বা কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ গঠন করেছিল আমেরিকা। আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সেই জোটে বাকি ৩ দেশ হল ভারত, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া। একাধিকবার ওই জোটের নৌ মহড়ায় অংশ নিয়ে শক্তি প্রদর্শন করেছে ভারত। কিন্তু ‘স্কোয়াড’ হল সরাসরি চিনের প্রতিপক্ষ। ‘কোয়াডে’ থাকলেও ভারতের স্বতন্ত্র বিদেশনীতি রয়েছে। ফলে পশ্চিমী বিশ্বের আজ্ঞাধীন হতে রাজি নয় দিল্লি। সেই কারনেই ‘স্কোয়াড’ জোটে ভারতকে নেননি পূর্ববর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু ট্রাম্প বুঝেছেন চিন সাগরে ড্রাগনের দাদাগিরি রুখতে হলে ভারত ছাড়া গতি নেই। শুল্কযুদ্ধ, অভিবাসন নীতি-সহ একাধিক ইস্যুতে দিল্লি-ওয়াশিংটনের মধ্যে চাপানউতোর চললেও, লাল ফৌজের আগ্রাসন রুখতে এক জোট দুই দেশ। আর সেই কারণেই স্কোয়াডে যোগদানের আমন্ত্রণ। 

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক মহড়া জোরদার করেছে বেজিং। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলেও সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করছে চিন। পাশাপাশি গত কয়েকমাস ধরে তাইওয়ান সীমান্তেও একাধিকবার অনুপ্রবেশ ঘটেছে চিনা যুদ্ধবিমান ও রণতরীর। এই নিয়ে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে সংঘাত আরও বাড়ছে। সেই কারণেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নয়া কৌশল ওয়াশিংটনের। দক্ষিণ চিন সাগরে লালফৌজের দাপট প্রতিরোধ করতে এবং তাইওয়ানের নিরাপত্তার স্বার্থে গত বছর হাওয়াইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘স্কোয়াড’ গঠন করেছে পেন্টাগন। আর সেই স্কোয়াডে এবার ভারতকে আমন্ত্রণ। তবে এখনও পর্যন্ত এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি ভারত।