নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের যোগ্য দাবিদার ভারত : ফ্রান্স

নিউইয়র্কের রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দফতর

রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সম্প্রসারণ প্রয়ােজন। এজন্য নতুন নতুন রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্তি দরকার নিরাপত্তা পরিষদে। আর নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদের জোরালাে দাবিদার ভারত। মোদি সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে এমনই সওয়াল ফ্রান্সের।

শুধু ভারতই নয়, ফ্রান্সের মতাে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদ পাওয়া উচিত জার্মানি, ব্রাজিল ও জাপানেরও। নিরাপত্তা পরিষদের পরিসর বাড়লে, তার কর্মক্ষমতা ও কাজের পথ আরও সুগম হবে, সুষ্ঠু ও নির্ভুল হবে।

রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফ্রান্সের স্থায়ী প্রতিনিধি ফ্রাঙ্কোস দেলাত্রে জানান, তাঁর দেশ চায় ভারত নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ অর্জন করুক। ভারত এর যােগ্য দাবিদার। রাষ্ট্রসংঘে এই বিষয় নিয়ে গুরুত্ব সহকারে আলােচনা হওয়া উচিত বলেও মনে করে ফ্রান্স।


তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার ভারতকে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযােগিতার হাত বাড়িয়েছেন রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাঁক্র। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও ফ্রান্সকে পাশে পেয়েছে নয়া দিল্লি।

পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ড জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পথে হাঁটবে ফ্রান্স। ফরাসি বিদেশমন্ত্রক, অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক ও অর্থমন্ত্রক যৌথ বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানায়। সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা ছাড়াও জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে মাসুদের নাম ইউরোপীয় ইউনিয়নের সন্দেহভাজন ব্যক্তির তালিকায় ঢোকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাবে বিবৃতিতে জানায় ফ্রান্স।

বিবৃতিতে ফ্রান্স সরকার জানায়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ফ্রান্স সবসময় ভারতের পাশে আছে এবং থাকবে। তাই ফ্রান্স ঠিক করেছে মাসুদ আজহারের সম্পত্তি ফ্রিজ করা হবে। ফ্রান্স এদিন বিবৃতি দিয়ে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘােষণা করে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় মাসুদ আজহারের নাম ইউরোপীয় ইউনিয়নের জঙ্গি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ইউনিয়নের অন্য দেশগুলির সঙ্গে আলাচনা করবে ফ্রান্স। এই ঘটনাকে ভারতের কুটনৈতিক জয় হিসেবেই চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক মহল।

তারও আগে রাফায়েল নিয়েও মােদি সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিল ফ্রান্স। রাফায়েল নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের ফরাসি রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দ্রে জিগলার। ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে সুসম্পর্কের ও বিশ্বাসের খাতিরে আসল বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আগেই যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তা একেবারে সত্যি। আমার মিথ্যা কথা বলার অভ্যাস নেই। সিইও হিসেবে আমি মিথ্যা বলতে পারি না।’ এছাড়া ফরাসি সংস্থা ড্যাসল্টের সঙ্গে কংগ্রেসের পুরনাে সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করে তিনি মনে করিয়ে দেন, প্রথম ভারতের সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়েছে জওহরলাল নেহরুর আমলে।