পূর্ব লাদাখে মূল টহলদার পয়েন্টগুলি থেকে সেনা সরিয়ে নেবে দুই দেশ। যদিও সীমান্তের আরও কয়েকটি বিতর্কিত এলাকা থেকে সেনা সরানাে হবে কিনা, তা নিয়ে স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারল না দুই দেশ। পূর্ব লাদাখ নিয়ে ১৫ মাস ধরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চুসুল-মােলডাে সীমান্তে ভারতের সেনা চৌকিতে দুই দেশের মধ্যে বৈঠক হয়। এই বৈঠকে চিন গােরাপােস্ট অঞ্চল থেকে সেনাবাহিনী সরাতে রাজি হয়েছে। কিন্তু হটস্প্রিং অঞ্চল নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সেখানে আগের মতােই সেনা মােতায়েন থাকবে।
শনিবার যে বৈঠক হয়েছিল, সেই বৈঠকে দেপসাং সমভূমি ও চারডিং-নিলুং অঞ্চলে যেভাবে চিনারা সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকেছে, তা নিয়ে আলােচনা হয়নি। তবে সােমবার দুই দেশের সেনাবাহিনীর তরফে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আলােচনা হয়েছে খােলামেলা।
ভারত-চিন সীমান্তে ওয়েস্টার্ন সেক্টরে বিভিন্ন এলাকা থেকে সেনা সরানাের ব্যাপারে দুই দেশের সেনাকর্তারা মত বিনিময় করেছেন। বৈঠক গঠনমূলক হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বােঝাপড়া আগের থেকে বেড়েছে।
ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, স্পর্শকাতর দেপসাং ভ্যালি থেকে সেনা সরানাের প্রশ্ন নেই, বরং গােগরা-গালওয়ান উপত্যকা থেকে পর্যায়ত্ৰমে সেনা সরানাে হচ্ছে। প্যাগংয়ের পাহাড়ি এলাকা থেকে পিপলস্ লিবারেশন আর্মি সেনা সরানাের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
তবে চিনের উপর পুরােপুরি আস্থা রাখতে নারাজ ভারতীয় সেনাবাহিনী। কারণ শান্তি আলােচনার মধ্যেও বিশ্বাসঘাতকতার নজির তৈরি করেছে চিন, এমন উদাহরণও রয়েছ।
শনিবার বৈঠক শুরু হয়েছিল সকাল সাড়ে ১০ টায়। শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। এবারই অনেকটা কম সময় বৈঠক হয়েছে। কারণ এর আগে বৈঠক শেষ হতে হতে রাত ২-৩টা বেজে যেত।