রুষ্ট আফগানিস্তানের রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ, এহেন মন্তব্য করে আসলে কাবুলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অযাচিতভাবে নাক গলাচ্ছেন ইমরান। মঙ্গলবার রাতের দিকে আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রক কাবুলে কর্মরত পাকিস্তানের উপরাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া ভাষায় এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি, বিষয়টি নিয়তে বিশদ আলোচনার জন্য ইসলামাবাদ থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকেও ডেকে পাঠিয়েছে তারা।
অশান্তির সূত্রপাত সোমবার। সাংবাদিক বৈঠক করার আগে সময় তিনি বলেন, ‘আফগান সরকার আসলে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে কারণ তারা বার বার জোর দিচ্ছে তালিবান যেন তাদের সঙ্গে কথা বলে’। তিনি এও অভিযোগ তোলেন, আফগান সরকারের আপত্তির কারণেই একবার তালিবানের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করতে হয় ইমরানকে। তাঁর মতে, আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়া সফল হতে পারে একমাত্র যদি কোনও নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার আসে।
ঘটনা হল আফগানিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে মান্যত দিতে চায় না তালিবান। আগামী মে মাসে তাঁর সরকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নতুন করে নির্বাচন হবে সেপ্টেম্বর মাসে। তার আগে এ হেন মন্তব্য যে আফগানিস্তান ও তাঁর জনগণের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত, সে কথাই তুলে ধরেছে সে দেশের রাজনৈতিক মহল। আফগানিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার প্রাক্তন প্রধান ও আসন্ন নির্বাচনে ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী আমরুল্লা সালে যেমন বলেন, ‘শান্তি প্রক্রিয়ার জট কাটাতে ইমরান খান গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও সংবিধানই ভেঙ্গে দেওয়ার আমরা এই মূল্য যেন চোকাই’। একই মন্তব্য আফগানিস্তানের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হানিফ আতমারেরও। তাঁর বক্তব্য, ‘আফগানিস্তানের বাসিন্দারাই স্থির করবেন দেশের সরকার ও রাজনীতির কী ভবিষ্যৎ হবে, প্রতিবেশী দেশের নেতারা নন’। তাৎপর্যপূর্ণভাবে আতমার নিজেও অন্তর্বর্তী প্রশাসনের পক্ষে কথা বলেছিলেন। কিন্তু তা বলে ইমরানের বিতর্কিত মন্তব্যকে সমর্থন করেননি। ঘানির মেয়াদ ফুরানোর পর যে তদারকি সরকার গঠন করা হবে , সেটাও যে আফগানিস্তানের ‘অভ্যন্তরীণ ব্যাপার’ সেটাও মনে করিয়ে দেন তিনি।