ভারতের দৃষ্টান্ত দিয়ে গা বাঁচানোর চেষ্টা ইমরানের

ইমরান খান (File Photo: IANS)

কবোনাভাইরাসে সংক্রমণের কারণে পাকিস্তানেও লকডাউন করেছিল ইমরান খান প্রশাসন। কিন্তু একে তো লকডাউন ঠিক মতো বাস্তবায়িত করা যায়নি, উল্টে ঘরোয়া অর্থনীতির যেটুকু বাকি ছিল তাতেও লাল বাতি জ্বলেছে। ফলে লকডাউন তুলে নিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু তা করতে গিয়ে পাছে ঘরোয়া রাজনীতিতে বিপদে না পড়েন, সে কারণে ঘুরে ফিরেই ভারতের কথা তুলে জুজু দেখাতে চাইলেন দেশকে।

শনিবার সন্ধ্যায় প্রথমে একটি ভিডিও টুইট করেছে পাক প্রধানমন্ত্রী। তার পর তিনি বলেন, এই ভিডিওটি দেখলেই বোঝা যাবে আমাদের সরকার কতটা উভয়সঙ্কটে রয়েছে। একদিকে দেশের জনতা, যাঁদের অনেকেই করোনার সংক্রমণের ঝুঁকিটা বুঝতেই পারছেন, উল্টো দিকে আমাদের ডাক্তাররা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে। আর তার মাঝে আবার কিছু এলিট চাইছে লকডাউন চলুক। কিন্তু অভিজাতদের তো সমস্যা নেই। বড় ব্লু রয়েছে। লকডাউন চললেও তাদের আয়ের উপর প্রভাব পড়বে না। কিন্তু অর্থনীতিতে ধসে যাচ্ছে।

তাঁর কথায়, একটা গরিব দেশে লকডাউন মানেই অর্থনীতির নাশ করা। দারিদ্র আরও বেড়ে যাবে। গরিবদের দুভোর্গ আরও বাড়বে। ঠিক যেমন মোদির লকডাউনে হয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, গোটা বিশ্ব এখন স্মার্ট লকডাউনের কথা চলছে। এটা পাকিস্তানই আগে শুরু করেছে। তাতে অর্থনৈতিক কাজকর্ম চলবে কিন্তু স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর তথা এসওপি মেনে তা হবে।


ইমরান এদিন বলেন, এসওপি সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর ব্যাপারে আমাদের টাইগার ফোর্স ও উলেমাদের উদ্দেশে আহ্বাণ জানাচ্ছি। কোভিডের সংক্রমণের পর ভারতে গণ বন্টন ব্যবস্থায় যে ভাবে খাদ্যশস্য বন্টন করা হয়েছে, পাকিস্তানে তার সিকিভাগও হয়নি। ফলে গরিবদের সংকট আগের তুলনায় আরও বেড়ে গিয়েছে। উপরি নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা খুবই কম। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থাও করতে পারেনি সরকার। ফলে ঘরোয়া রাজনীতিতে অসন্তোষ ক্রমশই উগড়ে উঠেছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে এই কারণেই ভারতের তুলনা টেনে পিঠ বাঁচাতে চাইছেন ইমরান। কিন্তু ইমরানও হয়তো জানেন, এ ভাবে বেশিদিন চলবে না। ফলে কিছুটা মরিয়া হয়ে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির সাহায্যও চাইতে শুরু করে দিয়েছে ইসলামাবাদ।