১৬ সেপ্টেম্বর হুথিরা তাদের হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। হুথিরা বলেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রের নাম ‘প্যালেস্টাইন ২’ ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো। ইয়েমেনের বিদ্রোহী শিয়া গোষ্ঠী হুথি। দু’দিন আগেই ইজ়রায়েলের মধ্যাঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল হুথি। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ইজ়রায়েলে হামলা চালায় হুথিরা। সেই হামলার পর থেকেই পশ্চিম দুনিয়ার শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে চর্চা শুরু হয়েছে হুথি বিদ্রোহীদের হাতে এই প্রযুক্তি কোথা থেকে এল?
হুথিরা রবিবার এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা বলেছে যে তারা ইজরায়েলের একটি “গুরুত্বপূর্ণ” সামরিক সাইটকে একটি নতুন হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে যা প্রায় ১১ মিনিট এবং ৩০ সেকেন্ডে ১২০০ মাইলেরও বেশি পরিভ্রমণ করেছিল। এই হাইপারসনিক গতির ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের গতির অন্তত পাঁচগুণ। নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। ইজ়রায়েলে হামলায় নিজেদের এই গোপন অস্ত্র ব্যবহার করে পশ্চিমি দুনিয়াকে বিস্মিত করেছে হুথিরা। এই ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৯৭৫৬ কিলোমিটার।
যে কোনও দেশের ‘এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’-কে ভেঙে তছনছ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্র মাঝপথ থেকেই এটি গতিমুখ বদলাতে পারে প্রয়োজন মতো। ফলে ‘শত্রু’ দেশের কোনও ক্ষেপণাস্ত্র পাল্টা হামলা চালালে তা পাশ কাটিয়ে নিশানার দিকে এগোতে থাকে ‘প্যালেস্টাইন ২’। হুথিদের হাতে আসা এই ক্ষেপণাস্ত্রই এখন আন্তর্জাতিক মহলে আলোড়ন ফেলেছে।
এই হামলার পর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজ়রায়েল প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এর ফল ভুগতে হবে হুথি বিদ্রোহীদের । অনেকেই মনে করছেন ইরান হুথি বিদ্রোহীদের এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে। যদিও ইরান সম্পূর্ণ ভাবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এই হামলা এবং ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি তাদের।