গত সোমবার ঢাকার শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হল হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, রাষ্ট্রদোহের অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই কারণেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী?
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বাংলাদেশের এক খ্যাতনামা হিন্দু নেতা। তাঁর প্রকৃত নাম চন্দন কুমার ধর। তিনি আগে হিন্দু ধর্ম প্রতিষ্ঠান ইস্কনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ইস্কনের মুখপাত্রের ভূমিকায় কাজ করেছেন তিনি। বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অধিকার সংরক্ষণ আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত তিনি। ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোট’-সংস্থার এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। প্রতিবেশী দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি সবসময়েই সরব ছিলেন।
বিগত বেশ কিছু সময় ধরে তিনি বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে হওয়া একাধিক সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন এবং নেতৃত্ব দান করেন। তাঁর বক্তব্য, বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বী যাঁরা, তাঁদের উপর হওয়া অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিবাদেই এই সমাবেশগুলি ডাকা হয়।
তাঁর এই ভূমিকা নিয়ে বিতর্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয় সারা দেশে। তাঁর উদ্দেশ্যকে সন্দেহের চোখে দেখা হতে থাকে। গত অক্টোবর মাসে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত একটি মিছিলে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন – এই অভিযোগও ওঠে তাঁর নামে। এর ফলে মামলা দায়ের হয় তাঁর নামে।
তাঁর গ্রেপ্তারির প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা পুলিশের মুখপাত্র তালেবুর রহমানের বক্তব্য, এই ব্যাপারটি সম্পূর্ণ তদন্তাধীন। তবে ঠিক কী কী অভিযোগ রয়েছে তাঁর নামে, সেই ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।
এই গ্রেপ্তারির ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, এমনটাই মনে করছেন অনেকে। কৃষ্ণ দাসের ভক্তদের মতে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে।