বাতিল হাসিনার আইন

ফাইল চিত্র

বাংলাদেশের হাইকোর্টের রায়ে আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই ভোট হবে বাংলাদেশে। এদিন বাংলাদেশের তদারকি সরকার বিলুপ্তি আইন হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হয়ে গেলো। শেখ হাসিনার সরকার পুরনো আইন বদলে যে নতুন সংশোধনী আইন এনেছিল, তার কিছু অংশ বাতিল করল বাংলাদেশ হাইকোর্ট।

২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ এবং ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশে তদারকি সরকার আইন বিলুপ্ত করা হয়। তার আগে বাংলাদেশে নির্বাচন সংঘটিত হতো তদারকি সরকারের অধীনে। সেই ব্যবস্থা বন্ধ করে সংশোধনী আইন আনে হাসিনা সরকার। ফলে শাসক অর্থাৎ হাসিনা সরকারের অধীনেই সংঘটিত হয়েছে দেশের তিনটি নির্বাচন। এই সংশোধনী বিরোধীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল। সম্প্রতি ওই সংশোধনীর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকটি রিট পিটিশন দায়ের হয় আদালতে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, পঞ্চদশ সংশোধনীর ওই ধারাদুটি বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে, যেটি হল গণতন্ত্র।

তবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পুরো সংশোধনীটি বাতিল করেনি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ২টি ধারাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। পুরো সংশোধনীটি বাতিল হবে কিনা সেটা ঠিক করার ভার দেওয়া হয়েছে আগামী সংসদের উপর। হাইকোর্ট বলেছে, জনগণের মতামত নিয়ে আগামী দিনে জাতীয় সংসদ পঞ্চদশ সংশোধনীর বাকি ধারাগুলির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।


রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা। তাঁদের দাবি এই আইনকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে ইউনুস সরকার। সংস্কারের কথা বলে যেমন দীর্ঘদিন তদারকি সরকার চালিয়ে যেতে পারবেন তিনি, অন্যদিকে দ্রুত নির্বাচন করাতে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া যে চাপ বাড়াচ্ছেন, সেটাকেও আটকাতে পারবেন। এই রায়ের পর সেই সময়সীমার মধ্যেও তিনি বাংলাদেশে ভোট করাবেন কিনা, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।