৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হাসিনার চুরি যাওয়া বিড়াল

গত ৫ অগস্ট, বাংলাদেশে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। দেশ ছাড়ার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। হাসিনার দেশ ছাড়ার পর শান্ত হয়নি উত্তাল বাংলাদেশ। বরঞ্চ এক শ্রেণীর মানুষ এই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেশছাড়াকে কাজে লাগিয়ে গণভবন, যা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে ঢুকে পর। তোলপাড় করা হয় গণভবন। ভাংচুর করে হাতের সামনে যে যা পায়, তাই-ই লুট করে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল সেই ভিডিয়ো। দামি জামদানী শাড়ি থেকে শুরু করে হাঁস, মুরগি, কিংবা ড্রেসিং টেবিল, এসি থেকে মাথার বালিশ- হাসিনার পছন্দের যা কিছু ছিল, কিছু বাদ যায়নি লুটের হাত থেকে। তবে এসবের মধ্যে বেজায় বিপদে পড়তে দেখা যায় শেখ হাসিনার পোষ্য বিড়ালের।হাসিনা চলে যেতেই নাকি গণভবন থেকে চুরি করে আনা হয় পোষ্য বিড়ালকে। তারপর  তাকে বিক্রি করা হয় ৪০,০০০ টাকায়। যদিও চুরি যাওয়া হাঁস, মুরগি, ছাগল, খরগোশ ও অন্যান্য প্রাণীরা যে ইতিমধ্যে কারো না কারো পেটে তা বলার অপেক্ষা রাখে না শঙ্কা, হাঁস, ছাগল, মাছ ইত্য়াদিকে হয়তো এতক্ষণে কেটে রান্না করে ফেলা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, অভয়ারণ্য নামক বাংলাদেশের একটি পশু কল্য়াণমূলক সংস্থার তরফেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দাবি করা হয় যে শেখ হাসিনার পোষা একটি বিড়াল ও জার্মান শেপার্ড কুকুর চুরি গিয়েছে। বিড়ালটিকে ৪০,০০০ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই গণভবন থেকে চুরি যাওয়া শেখ হাসিনার পোষ্য বিদেশি বিড়ালটিকে উদ্ধার করে বাংলাদেশের স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স। পাওয়া গিয়েছে কুকুরটিও। আপাতত দুই পোষ্যকেই ফের গণভবনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

তবু যদি কেউ গণভবন থেকে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পোষা কোনও প্রাণী নিয়ে থাকেন এবং তা ফেরত দিতে চান, তবে গণভবনের গেটে নিরাপত্তারক্ষীর কাছে দিয়ে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। যদি কেউ গণভবনে যেতে না চান, তবে ওই সংস্থার সঙ্গেই যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকরা বাড়ি থেকে সেই প্রাণী উদ্ধার করে আনবে।


প্রসঙ্গত,  ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কায় গোতাবায়া রাজাপক্ষের সরকার পতনের পর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে লুঠপাটের যে চিত্র দেখা গিয়েছিল, ঠিক তারই পুনরাবৃত্তি দেখা যায় ঢাকায় গণভবনে।