ডোনাল্ড ট্রাম্পের পর এবার হামলার শিকার ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস। হ্যারিসের নির্বাচনী কার্যালয় লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার টেম্প শহরের এই কার্যালয় লক্ষ্য করে গুলি চালানো হল।
মঙ্গলবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক বিবৃতিতে টেম্প পুলিশ গুলি চালানোর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির অফিসে ‘বন্দুকের গুলিতে ক্ষয়ক্ষতি’র ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
টেম্প পুলিশের পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার সার্জেন্ট রায়ান কুক জানিয়েছেন, ঘটনার সময় অফিস চত্বরে কেউ ছিলেন না কিন্তু ওই অফিসে অনেকেই কাজ করেন। গুলি চালানোর ঘটনায় তাঁদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এলাকাবাসীর মধ্যেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলিতে হামলার পরে ভিডিও ফুটেজ সম্প্রচারিত হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, অফিসের একটি দরজায় দুটি এবং জানালায় আরও দুটি বুলেটের ছিদ্র দেখা গিয়েছে। গোয়েন্দারা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছে। আপাতত ঘটনার তদন্ত চলছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই কার্যালয়ের কর্মীদের পাশাপাশি এলাকার অন্যান্যদের জন্যও অতিরিক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে অ্যারিজোনা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারওম্যান ইয়োলান্ডা বেজারানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে অ্যারিজোনা ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে বারবার টার্গেট করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার কথা পুলিশকে জানানপ হয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
এদিকে শুক্রবার কমলা হ্যারিসের অ্যারিজোনা সফরের মাত্র কয়েকদিন আগে এই গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। টেম্পের এই অফিসটি অ্যারিজোনায় ডেমোক্র্যাটিক মনোনীত প্রার্থীর প্রচারের জন্য ১৮টি ফিল্ড অফিসগুলির মধ্যে একটি।
কমলা হ্যারিসের রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপরও গুলি চালানো ঘটনা ঘটেছে। ১৫ সেপ্টেম্বর তাঁর গোল্ড ক্লাবে হামলা চালানো হয়। ৫৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন ডেমোক্র্যাট সমর্থক রায়ান রাউথকে ঘটনার কিছুক্ষণ পরই গ্রেপ্তার করা হয়।