হামাস-ইজরায়েল রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ  অব্যাহত,  উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ইরান

তেহরান, ১৬ জানুয়ারি – হামাস-ইজরায়েল রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শততম দিন পেরিয়ে গেলেও থামার কোন লক্ষ্মণ নেই। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে ক্রমাগত।  এরই মাঝে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ইরান। ইরাকে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ-এর  সদর দপ্তর উড়িয়ে দিয়েছে ইরানী সেনা। শুধু তাই নয়,  আক্রমণ আরও তীব্র করার ডাক দিয়েছে তেহরান।  

সোমবার ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে অবস্থিত ইজরায়েলের গুপ্তচর বাহিনীর সদর দপ্তরে হামলা চালানো হয়। এই নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইরান রেভোলিউশনারি গার্ডস। সেখানে মোসাদ-এর নাম উল্লেখ করে বলা হয়, ‘ওই অঞ্চলে গুপ্তচর বাহিনীর সদর দপ্তরগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে ব্যালিস্টিক মিসাইল। ইরানবিরোধী সন্ত্রাসবাদী  গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানো হয়েছে।’ একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসবাদী  কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের দমন করতেই এই অভিযান শুরু হয়েছে।  কুর্দিস্তানের রাজধানী ইরবিলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের কাছেও আঘাত হানা হয়। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দূতাবাসটির কোনও ক্ষতি হয়নি। 

গাজায় ইজরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ইরান। এই যুদ্ধে তারা প্যালেস্টাইনের জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের সমর্থনে রয়েছে। গাজায় ইজরায়েল যে অপরাধ করছে তাতে মদত দিচ্ছে আমেরিকা। এমনটাই অভিযোগ করেছে ইরান ।  কিন্তু মার্কিন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এই লড়াইয়ে ওয়াশিংটন ইজরায়েলের পক্ষে দাঁড়ালেও তারা প্যালেস্তিনীয়দের মৃত্যু নিয়ে উদ্বিগ্ন। অন্যদিকে, কুর্দিস্তানে এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে ইরাক। ইরান বাহিনীর হামলায় ওই অঞ্চলে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪ জনের। আহত হয়েছেন ৬ জন। কুর্দিস্তান সরকারের নিরাপত্তা পরিষদ বিবৃতি প্রকাশ করে, ইরানের এই হামলাকে ‘অপরাধ’ বলে গণ্য করা হচ্ছে। 


উল্লেখ্য, যত দিন যাচ্ছে ততই ভয়ংকর হয়ে উঠছে হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধ। গাজায় বাড়তে থাকা মৃতের সংখ্যা নিয়ে বহু দেশের সমালোচনার মুখে পড়েছে ইহুদি দেশটি। এদিকে ইজরায়েলে হামলা চালাচ্ছে লেবাননের সন্ত্রাসী সংগঠন হেজবোল্লা ও ইয়েমেনের হাউথি গোষ্ঠী । তাদের মদত দিচ্ছে ইরান। গত বছরের নভেম্বরে নয়া হাইপারসনিক মিসাইল প্রকাশ্যে এনেছিল তেহরান। বিশ্লেষকদের মতে, ইজরায়েলের উপর চাপ বাড়াতেই ইরানের এই পদক্ষেপ। ইরান যদি সরাসরি এই যুদ্ধে নামে তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আশংকা।