বছর গড়াতে চললেও যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায় অব্যাহত মৃত্যুমিছিল। হামাস হত্যায় সমগ্র গাজা ভূখণ্ডকে ধূলিসাৎ করতে চায় ইজরায়েল। যুদ্ধবিরতির পথে যেতে চাইলেও কর্ণপাত করেনি ইজরায়েল।যুদ্ধ থামাতে এবার আমেরিকার কাছে আর্তি জানাল প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠনটি। তাদের আর্জি, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উপর চাপ সৃষ্টি করুক আমেরিকা। হামাসের আর্জি , “আর অন্ধ হয়ে থাকবেন না। এবার ইজরায়েলের উপর চাপ সৃষ্টি করুন।”
গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটাতে উদ্যোগী হয়েছে বিভিন্ন দেশ। উদ্যোগী হয়েছে আমেরিকাও। প্রতিনিয়ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে ওয়াশিংটন। একাধিকবার কাতারে শান্তি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন হামাস ও ইজরায়েলের প্রতিনিধিরা। মধ্যস্থতা করছে সৌদি আরব, মিশর।কিন্তু যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত হয়নি উভয় পক্ষই । কারণ পণবন্দিদের মুক্তি নিয়ে একাধিক শর্ত চাপিয়েছে হামাস। যা মেনে নেয়নি ইজরায়েল । এখনও নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় নেতানিয়াহু। উপায় না দেখে আমেরিকার দ্বারস্থ হয়েছে হামাস।
সম্প্রতি দোহায় অনুষ্ঠিত হয়েছে শান্তি বৈঠক। সেখানে উপস্থিত হামাসের প্রতিনিধি খলিল আল হাইয়া জানিয়েছেন, “নেতানিয়াহু চুক্তিতে সম্মত হননি। তাই আমেরিকার আর ইজরায়েলের পক্ষ নেওয়া উচিত নয় । তাঁর বক্তব্য , অন্ধ হয়ে না থেকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে নেতানিয়াহুর উপর চাপ বাড়ান । আমরা চুক্তির খুব কাছেই ছিলাম।”
প্রসঙ্গত, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইজরায়েলের পাশে থাকলেও গাজায় মৃত্যু নিয়ে বারংবার সোচ্চার হয়েছে আমেরিকা। সম্প্রতি তেল আভিভকে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করেছে মার্কিন প্রশাসন। গাজায় ইজরায়েলি সেনার একটানা অভিযানে ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার পেরিয়েছে। এখন প্রশ্ন, আমেরিকার চাপের কাছে কি মাথা নোয়াবে ইজরায়েল?
গত ১১ মাস ধরে হামাসের ডেরায় বন্দি বহু মানুষ । যা নিয়ে প্রতিনিয়ত ইজরায়েলের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। এর মাঝেই ফের গাজা থেকে ৬ পণবন্দির দেহ উদ্ধার করেছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস। তাদের অভিযোগ, ওই ৬ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে হামাস জঙ্গিরা। এর পরই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ইজরায়েল। পণবন্দিদের মৃত্যু নিয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন নেতানিয়াহু।কিন্তু তারপরেও কি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটবে ?