• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

হামাসের কাতর আর্জি, ‘যুদ্ধ থামলে আমরা সব চুক্তিতে রাজি’

গাজা, ৩১ মে– প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ার পর হামাসের মনে হল এবার যুদ্ধ বন্ধ হওয়া দরকার৷ আর তাই গাজা ভূখণ্ডে গত আট মাস ধরে চলা ইজরায়েলি সেনার অভিযানের পর ‘ধ্বংসস্তূপে’ পরিণত হওয়ার পর হামাসের আর্জি ‘যুদ্ধ থামলে আমরা সব চুক্তিত রাজি’৷ উল্লেখ্য, গত ৮ মাস ধরে চলতে থাকা ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ফলে গাজা প্রায় শ্মমানে পরিণত৷ এরমধ্যেই

গাজা, ৩১ মে– প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ার পর হামাসের মনে হল এবার যুদ্ধ বন্ধ হওয়া দরকার৷ আর তাই গাজা ভূখণ্ডে গত আট মাস ধরে চলা ইজরায়েলি সেনার অভিযানের পর ‘ধ্বংসস্তূপে’ পরিণত হওয়ার পর হামাসের আর্জি ‘যুদ্ধ থামলে আমরা সব চুক্তিত রাজি’৷
উল্লেখ্য, গত ৮ মাস ধরে চলতে থাকা ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ফলে গাজা প্রায় শ্মমানে পরিণত৷ এরমধ্যেই বহুবার যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের প্রবল চাপ, ইন্টারন্যাশনাল কোর্টের নির্দেশ দেওয়া হলেও কাজে আসে নি কিছুই৷ সব কিছু উপেক্ষা করে গাজায় আক্রমণ চালিয়ে গিয়েছে ইজরায়েল৷ ইজরায়েলের তীব্র আক্রমণে কোনঠাসা হয়ে গিয়েছে হামাস জঙ্গিরা৷ এই পরিস্থিতিতে প্যালেস্টাইনের জেহাদি সংগঠনটির কাতর আর্জি, যদি লড়াই থামায় ইজরায়েল তাহলে তারা সমস্ত চুক্তি মেনে নেবে৷ তাহলে কি বলাই যায় হার স্বীকার করে নিল হামাস?
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসেই রাফায় ঢুকে পড়েছিল ইজরায়েলের ট্যাঙ্কবাহিনী৷ রাফা বর্ডার ক্রসিংয়ের প্যালেস্তিনীয় অংশও দখল করে নেয় তারা৷ এবার মধ্য রাফার প্রাণকেন্দ্র আল-আওদা শহরে ঢুকে ঘাঁটি গেড়েছে ইজরায়েলি ট্যাঙ্কবাহিনী৷ সেখান থেকে আরও অন্যান্য শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে তারা৷ লক্ষ্য একটাই৷ হামাসের ডেরা খুঁজে ‘অগ্নিবর্ষণ’ করা৷ এই মুহূর্তে গাজার যা পরিস্থিতি তাতে অভিযান সম্পূর্ণ করতে আরও ৭ মাস সময় লাগবে বলেই ধারণা করছে ইজরায়েলি ফৌজ৷
এই মুহূর্তে প্যালেস্তিনীয়দের ‘শেষ আশ্রয়’ রাফাতে ঢুকেও হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল৷ চলতি সপ্তাহে সেখানকার একাধিক শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলি সেনার ‘অগ্নিবর্ষণে’ প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় পঞ্চাশের উপর মানুষ৷ অন্যদিকে, ইজরায়েলের হাতে খতম হচ্ছে একের পর হামাস জঙ্গি৷ মাটির নিচের টানেল থেকে শুরু করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জেহাদিদের ডেরা৷ এরই মধ্যে গাজার গুরুত্বপূর্ণ ‘ফিলাডেলফিক করিডোরে’র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে তেল আভিভ৷ রয়টার্স সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতিতে হামাসের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘ইজরায়েল যদি যুদ্ধ থামাতে সম্মত হয়, প্যালেস্তিনীয়দের মৃতু্য বন্ধ হয় তাহলে সবরকম চুক্তিতে আমরা সম্পূর্ণ সহমত হব৷’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধবিরতি নিয়ে যেসব আলোচনা হচ্ছে আমরা আর তাতে থাকতে রাজি নই৷ ক্রমগত এইসব বৈঠক হচ্ছে, যার মধ্যেই আমাদের মানুষদের গণহত্যা হচ্ছে৷ অনাহারে মানুষ ভুগছে৷ যারা মধ্যস্থতা করছে তাদের আমরা জানাতে চাই, যদি এই যুদ্ধ বন্ধ হয় তাহলে আমরা সবরকম চুক্তিতে রাজি৷ পণবন্দিদের মুক্তির চুক্তিতেও আমাদের সম্মতি রয়েছে৷’ গত আট মাস ধরে চলতে থাকা এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান চাইছে সকলে৷
বলে রাখা ভালো, চলতি মাসে মিশরের রাজধানী কায়রোতে একটি শান্তি বৈঠক হয়েছিল৷ সেখানে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে হামাস ও ইজরায়েল দুপক্ষই নিজেদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল৷ যা নিয়ে হামাসের তরফে জানানো হয়, “যারা এখানে মধ্যস্থতা করছে তারা কিছু প্রস্তাব দিয়েছিল৷ যার বেশ কয়েকটিতে ইজরায়েল আপত্তি জানিয়েছে৷ ফলে এখন সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ওদের৷ বল ইজরায়েলের কোর্টেই রয়েছে৷” এর আগে একাধিকবার মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল হামাস৷ যা প্রত্যেকবারই নাকচ করে দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু৷