১১ এপ্রিলের পর ১ মে। মাঝে বেশ কিছুদিন দেখা যায়নি উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনকে। তাঁর কী হয়েছে তা নিয়ে অনেক খবর রটেছিল। অনেক জায়গায় দাবি করা হয়েছিল, হয়তো মারা গিয়েছেন তিনি। অবশেষে সব গুজব উড়িয়ে ফিরে এসেছে তিনি। আর কিমকে সুস্থ অবস্থায় ফিরতে দেখে তিনি খুশি হয়েছেন বলেই জানালেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ।
ট্রাম্প টুইট করে একথা জানান। টুইটে তিনি বলেন, আমি খুব খুশি হয়েছি কিমকে সুস্থ অবস্থায় ফিরতে দেখে।
উত্তর কোরিয়ার এক সংবাদমাধ্যম জানায়, শুক্রবার একটি সার তৈরির কারখানার উদ্বাধন করেছেন কিম। এই অনুষ্ঠানে কিম জং উন আসার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত অতিথি ও অন্যান্য ব্যক্তিরা আনন্দে চিৎকার করে ওঠেন। তাঁরা হাততালি দিয়ে স্বাগত জানান কিমকে।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, কারখানার উদ্বোধন করার পরে সেখানে কিছুক্ষণ সময়ও কাটান কিম জং উন। ঘুরে দেখেন কারখানা। কী রকম ব্যবস্থা রয়েছে তা দেখেন। কী ভাবে উৎপাদন বাড়ানো যেতে পারে, তার কিছু পরামর্শও দেন তিনি।
জানা গিয়েছে, এই অনুষ্ঠানে এসে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন উত্তর কোরিয়ার এনায়ক। তিনি বলেন, তাঁর ঠাকুরদা কিম ইল সুং ও বাবা কিম জং ইল শুনলে খুব খুশি হতেন যে আধুনিক ফসফেটিক সার তৈরির কারখানার কাজ শুরু করেছে উত্তর কোরিয়াতে।
এই অনুষ্ঠানে কিমের বোন, উপদেষ্টা ও আরও কিছু আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানের ছবি সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ করা হয়নি। শনিবার তা প্রকাশ পায়।
১১ এপ্রিল এক বৈঠকের পর থেকেই দেখা মিলছিল না কিমের। ১৫ এপ্রিল তাঁর ঠাকুরদার জন্মদিনেও কিমকে দেখা যায়নি। উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে এই দিনের গুরুত্ব অসীম। তাই খুব ধুমধাম করে পালন হয় এই দিন। এখানেও কিমকে না দেখা যাওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
কয়েক দিনের মধ্যে শোনা যায় গুরুতর অসুস্ত হয়ে পড়েছে কিম জং উন। এমনকি তাঁর মৃত্যুর খবরও ছড়িয়ে পড়ে। তার পরে তাঁর কাকা, না বোন, কে উত্তর কোরিয়ার সিংহাসনে বসনে তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়।
অবশ্য তারমধ্যেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি জানেন কিম কোথায় আছে। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি মুন জায় ইন’ও জানান, সুস্থ আছেন কিম।