মুদির দোকানের জিনিসপত্র যাতে ড্রোনের মাধ্যমে ক্রেতাদের বাড়িতে পৌছে দেওয়া যায় সে জন্য পাইলট প্রজেক্ট চালু করছে ওয়ালমার্ট। ইতিমধ্যে ফ্লাইটেক্স নামে একটি সংস্থা ড্রোনের মাধ্যমে নানা প্রকার দ্রব্য সরবরাহ করে থাকে। এবার একই পথে হাঁটতে চাইছে ওয়ালমার্টও। অ্যামাজনের সঙ্গে প্রতিযােগিতায় এগিয়ে থাকার জন্যই ওয়ালমার্ট এই পথ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আমেরিকার আরকানসাস প্রদেশের বেন্টনভিলে রয়েছে ওয়ালমার্টের হেড অফিস। নর্থ ক্যারােলিনার ফায়েটেভিলে অঞ্চলে গত বুধবার থেকে ড্রোনের মাধ্যমে জিনিসপত্র সরবরাহ করা শুরু হয়েছে। ওয়ালমার্ট জানিয়েছে, ক্লাউড কন্ট্রোলে ড্রান ব্যবহার করছে তারা। ওয়ালমার্টের কাস্টমার প্রডাক্ট বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট টম ওয়ার্ড বলেন, আগামী দিনে ড্রোনের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ প্যাকেজ সরবরাহ করা হবে। এখন অবশ্য বিষয়টি সায়েন্স ফিকশনের মতাে মনে হচ্ছে।
গত কয়েক মাস ধরেই বিশ্বের নানা প্রান্তে পণ্য ডেলিভারির সংখ্যা ও পরিমাণ বেড়েছে। করােনা অতিমারির মধ্যে বাজারে না গিয়ে হােম ডেলিভারি নিতে পছন্দ করছেন অনেকে। গত তিন মাসে ওয়ালমার্টের অনলাইন অর্ডারের পরিমাণ বেড়েছে দ্বিগুন। এর আগে ক্রেতাদের কাছে পণ্য পৌছে দেওয়ার জন্য ফোর্ড মােটর কোম্পানির সঙ্গে গাঁটছড়া বেধেছিল ওয়ালমার্ট। এছাড়া গ্যাটক এবং নুরাে নামে দুটি সেলফ ড্রাইভিং ভেহিকেল নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গেও তারা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল।
কয়েক মাস আগে ফ্লিপকার্টের ৭৭ শতাংশ অংশীদারি কিনে নেয় বিশ্বের অন্যতম রিটেল বহুজাতিক মার্কিন সংস্থা ওয়ালমার্ট। এই মার্কিন সংস্থার তরফে জানানাে হয়েছে ফ্লিপকার্টের সঙ্গে তাদের ১৬০০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে। যার মধ্যে ফ্লিপকার্টের ব্যবসা বাড়ানাের জন্য বিনিয়ােগ করা হবে ২০০ কোটি ডলার। এখনও পর্যন্ত এটাই ওয়ালমার্টের সবচেয়ে বড় অধিগ্রহণ।
ওয়ালমার্টের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে- এই অধিগ্রহণের ফলে ফ্লিপকার্টের ৭৭ শতাংশ অংশীদারিত্ব পাচ্ছে এই মার্কিন সংস্থা। বাকি অংশীদারিত্ব রয়েছে অন্যান্য সংস্থার হাতে। যার মধ্যে রয়েছে ফ্লিপকার্টের সহ প্রতিষ্ঠাতা বিন্নি বনশল, টাইগার গ্লোবাল ও মাইক্রোসফট কর্প।