চার দশক আগে প্রকাশিত উপন্যাসে ইঙ্গিত করােনাভাইরাসের! তোলপাড় নেটদুনিয়া

ডিন কুনজ'এর 'দ্য আইজ অফ ডার্কনেস'-এ 'ইউহান' নামে ভাইরাসের উল্লেখ করা হয়। (Photo: IANS)

করােনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে গােটা বিশ্বে ত্রাহি ত্রাহি রব। এখনও পর্যন্ত শুধু চিনেই মারা গিয়েছেন ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষ। চিনের ইউহান শহরে এই ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল। তারপর চিন তাে বটেই, বিশ্বের আরও অনেক দেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। কীভাবে এর থেকে পরিত্রাণ মিলবে, তা নিয়ে মাথা চুলকাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের তাবড় বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা।

এই পরিস্থিতিতে সামনে এসেছে এক মারাত্মক তথ্য। প্রায় ৪০বছর আগেই একটি উপন্যাসে ‘ইউহান ভাইরাস’এর সম্ভাবনার কথা ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল। সে কথা সামনে আসতেই ইন্টারনেট দুনিয়ায় তােলপাড় শুরু হয়। কারণ, প্রথমত শহরটির নামও ইউহান। দুই, উপন্যাসে বর্ণিত ভাইরাস জৈব অস্ত্র হিসেবে গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছিল। চিনের বিরুদ্ধে অভিযােগ, নােভেল করােনাভাইরাসও তারা অস্ত্র হিসেবে গবেষণাগারে তৈরি করছিল। কিন্তু তা কোনওভাবে ‘লিক’ হয়ে গিয়েই সাম্প্রতিক বিপত্তি সৃষ্টি করেছে।

বইটিতে বলা হয়েছে, চিনের একজন বিজ্ঞানী যার নাম লি চেন, তিনি চিন থেকে পালিয়ে এসে আমেরিকায় বসবাস করছেন। সঙ্গে তিনি নিয়ে এসেছেন একটি ছােট ডিস্ক। যাতে আছে চিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে বিপজ্জনক নতুন জৈব অস্ত্র ইউহান-এর রেকর্ড।


লেখা একটি রহস্য কাহিনি প্রায় ৪০বছর আগে লেখা একটি রহস্য কাহিনি ‘দ্য আইজ অফ ডার্কনেস’-এ ‘ইউহান’ নামে ওই ভাইরাসের উল্লেখ করা হয়। লেখক ডিন কুনজ। সােশ্যাল মিডিয়ায় এই রহস্যপুর্ণ উল্লেখের বিষয়টি প্রথম নজরে আনেন ডারেনপ্লাইমাউথ নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী। টুইট করেন, ‘আমরা এক অদ্ভুত দুনিয়ায় বাস করি!’

ওই বইটিতে ‘ইউহান ভাইরাস’এর উল্লেখ দেখে নেটদুনিয়া কার্যত স্তম্ভিত। শুরু হয়ে যায় তুমুল হইচই। কেউ মন্তব্য করেন, ওঁর লেখা প্রচুর বই পড়েছি। ওঁর বর্ণনাগুলাে বাস্তবের অনেক কাছাকাছি। কিন্তু এটা সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে।’ আর একজন লেখেন, ‘হ্যাঁ। ওই সিরিজটার কথা মনে পড়ছে। তখন ছােট ছিলাম। ভয়ে যেন প্রাণ বেরিয়ে গিয়েছিল।’ কারও মতে, ‘অবিশ্বাস্য সমাপতন!’ চিনকে খোঁচা দিয়ে কেউ কেউ বলেছেন, ‘এই ঘটনা কাকতালীয় হতে পারে না। স্পষ্ট বােঝা যাচ্ছে।’

কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারিও বইটির প্রচ্ছদ এবং কিছুটা অংশ উদ্ধৃত করে লেখেন, ‘সত্যিই কি করােনাভাইরাস চিনের তৈরি জৈব অস্ত্র ইউহন? ডিন কুনজ এখনও জীবিত। তাই এই রহস্যের সমাধান করতে পারেন এই মার্কিন লেখক অথবা খােদ চিন সরকার। যদিও প্রশ্ন উঠছে সত্যি কি আদৌও প্রকাশ্যে আসবে?