• facebook
  • twitter
Wednesday, 25 December, 2024

অসুস্থ প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন, ভর্তি হাসপাতালে

রক্ত সহ আরও কিছু জরুরি শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। একথা জানিয়েছেন বিল ক্লিন্টনের আপ্ত সহায়ক। ৭৮ বছর বয়সি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা এই ডেমোক্র্যাট নেতাকে আপাতত চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

ফাইল চিত্র

অসুস্থ প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, সোমবার গভীর রাতে ওয়াশিংটন ডিসির একটি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর রক্ত সহ আরও কিছু জরুরি শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। একথা জানিয়েছেন বিল ক্লিন্টনের আপ্ত সহায়ক। ৭৮ বছর বয়সি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা এই ডেমোক্র্যাট নেতাকে আপাতত চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। গড়া হয়েছে বিশিষ্ট চিকিৎসকদের একটি মেডিক্যাল বোর্ড।

জানা গিয়েছে, আমেরিকান সময় অনুযায়ী, সোমবার দুপুর নাগাদ হঠাৎ জ্বর বেড়ে যায় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মেডস্টার জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারে। ক্লিনটনের মুখপাত্র অ্যাঞ্জেল ইউরিনা জানান, ‘এদিন জ্বর বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে আগের থেকে ভালো রয়েছেন তিনি। এখন তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত গত কয়েকবছর ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন ক্লিন্টন। সেজন্য আগে তাঁকে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। ২০০৪ সালে গুরুতর হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় দ্রুত তাঁর বাইপাস সার্জারি করা হয়। সেই থেকেই তাঁর খাদ্যাভ্যাসে বড়সড় পরিবর্তন আনা হয়। তাঁর পছন্দের চর্বি জাতীয় খাবার নিষিদ্ধ হয়ে যায়। পরিবর্তে ডাক্তারদের পরামর্শে তিনি নিরামিষ খাবার খাওয়া শুরু করেন। ২০২১ সালে তিনি রক্ত সংক্রমণের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমাণ বেড়ে যায় তাঁর। সেসময় তাঁকে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

উল্লেখ্য, বিল ক্লিন্টন ছিলেন আমেরিকার ৪২তম প্রেসিডেন্ট। সুদর্শন চেহারা, অসাধারণ বাগ্মীতা ও ক্যারিশমার জন্য ক্লিন্টন অসম্ভব জনপ্রিয়। ১৯৯৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আমেরিকার মসনদে ছিলেন তিনি। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের হয়ে প্রচার করেন ক্লিন্টন। তবে তাঁর সেই প্রচারে সফলতা পায়নি ডেমোক্র্যাট দল। কমলাকে হারিয়ে নির্বাচনে জয়ী হন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।