১০ কোটি ব্যয়ে ইসলামাবাদে নির্মাণ হচ্ছে প্রথম হিন্দু মন্দির

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

ইসলামাবাদে হিন্দুরাও আছেন। কিন্তু, তাঁদের জন্য শহরে দেবালয় নেই। গোটা রাজাধানী শহর ঢু-মেরে মন্দির মেলা দুষ্কর। এককালে যা ছিল, তা-ও পরিত্যক্ত বয়সের ভারে। তাই বিশেষ বিশেষ দিনে, ধর্মীয় আচার পালনে, রাজধানীবাসী হিন্দুদের যেতে হয় অন্য শহরে। এ ভাবেই যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল হিন্দুজীবন। দাবি থাকলেও দাবি আদায়ের জোর ছিল না। আজও যে আছে, তা-ও নয়।

তাই রাজনৈতিক পালাবদলেও মন্দিরহীন শহর হয়েই থেকে গিয়েছিল পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ। থেকে গিয়েছিল, কারণ ছবিটা এবার বদলাচ্ছে। হিন্দুদের কথা ভেবে, তাঁদের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে এই প্রথম গড়ে উঠতে চলেছে মন্দির। শুধু মন্দির নয়, জীবনের শেষ আশ্রয়ের ঠিকানা একখানি শ্মশানও পাবেন হিন্দুরা। পরিজনের শেষকৃত্যে এই শ্মশানের খোঁজ করতেও কম নাকাল হন না সেখানকার হিন্দুরা।

সূত্রের খবর, ইসলামাবাদের এইচ-৯ সেক্টরে ২০ হাজার বর্গফুট এলাকাজুড়ে তৈরি হচ্ছে একটি কৃষ্ণ মন্দির। ইসলামাবাদ হিন্দু পঞ্চায়েত সমিতি নাম রেখেছে শ্রীকৃষ্ণ মন্দির। পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী পির নুরুল হক কাদরি জানান, মন্দির নির্মাণে ১০ কোটি টাকা খরচ হবে। সরকারই নির্মাণব্যয় বহন করবে।


মানবাধিকার সম্পর্কিত সংসদীয় সচিব লালচাঁদ মালহি মঙ্গলবার এই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে বলেন, বিগত ২০ বছরে পাকিস্তানের রাজধানীতে হিন্দু জনসংখ্যা যথেষ্ট বেড়েছে। তাই হিন্দুদের উপাসনার জন্য এই মন্দির নির্মাণ তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর কথায়, ইসলামাবাদের হিন্দুরা দীর্ঘদিন ধরে একটি মন্দিরের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অবশেষ সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে।

তিনি বলেন, ইসলামাবাদে হিন্দুদের জনসংখ্যা অতীতের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু, উপসনা করার মন্দির ছিল না। যা ছিল, তা অনেক পুরনো। জরাজীর্ণ হওয়ায় পরিত্যক্ত। তাই সরকারের এই উদ্যোগ বাহবাযোগ্য। হিন্দুদের জন্য শ্মশানও যে শহরে ছিল না, সে উল্লেখও করেন মানবাধিকার সম্পর্কিত সংসদীয় সচিব।

জানা গিয়েছে, মন্দিরের জন্য হিন্দু পঞ্চায়েতকে জমি দিয়েছিল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, সাইট ম্যাপ তৈরি, সিডিএর কাছ থেকে তার অনুমোদন পাওয়া ইত্যাদি আনুষ্ঠানিকতার কারণে নির্মাণকাজ শুরু করতে দেরি হল। ওই মন্দির চত্বরেরই একধারে শ্মশান তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে হিন্দু পঞ্চায়েত সমিতি।