বাংলাদেশের সচিবালয়ে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, একজনের মৃত্যু

বাংলাদেশের সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। আগুন নেভাতে গিয়ে এক দমকলকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই থেকে তিনজন। দমকলের ১৯টি ইঞ্জিনের চেষ্টার কয়েক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বুধবার রাতে ১টা ৫০ নাগাদ আগুন লাগে। ১টা ৫০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। আগুন লাগে ছয় তলায়, পরে তা সাত ও আটতলায় ছড়ায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

সচিবালয়ের কর্মীরা প্রশ্ন তুলে বলছেন, সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জায়গায় কীভাবে আগুন লাগল? কেউ কেউ আগুন লাগার ঘটনাকে ‘নাশকতা’ বলে উল্লেখ করছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির সদস্যসংখ্যা ৫ থেকে ১১ জন হতে পারে। আগুনের ঘটনায় নাশকতা থাকতে পারে কি না, তা তদন্তের পর তা বলা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আগুন লাগার পরপরই সচিবালয়ের সব কটি ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে কর্মীরা কাজে আসতে শুরু করেন। পুলিশ কাউকেই সচিবালয়ে প্রবেশ করতে দিচ্ছিল না। এই ফলে সচিবালয়ের বাইরে ভিড় জমতে থাকে। এদিন সকাল সোয়া ৯টার দিকে সচিবালয়ের ৫ নম্বর ফটক খুলে দেওয়া হয়। ফটক খুলে দিলে বাইরে অপেক্ষারত আধিকারিক-কর্মচারীরা সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে যান।


এদিকে আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে ট্রাকের চাপায় দমকল বাহিনীর এক কর্মী গুরুতর আহত হন। তাঁর নাম সোহানুজ্জামান নয়ন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিন সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ ফায়ার সার্ভিসের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল এই তথ্য জানান।

আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। এ ছাড়া আগুন লাগার কারণ সম্পর্কেও কিছু বলেনি দমকল। সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রক; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রক; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক; অর্থ মন্ত্রক; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রকের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে।