• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

কৃষক বিক্ষোভ ভারত-পাকিস্তান ইস্যু! ‘ভুল’ করে অস্বস্তিতে পড়লেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী

ব্রিটেনের সংসদেও উঠে এল ভারতের কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গ। আর সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রীতিমতাে অস্বস্তিতে পড়তে হল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Photo: IANS)

ব্রিটেনের সংসদেও উঠে এল ভারতের কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গ। আর সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রীতিমতাে অস্বস্তিতে পড়তে হল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে। তিনি কৃষক বিক্ষোভকে গুলিয়ে ফেললেন ভারত-পাকিস্তানের ইস্যু হিসেবে। তাঁর মতে, দুই দেশের উচিত নিজেদের মধ্যে কথা বলে বিষয়টা মিটিয়ে নেওয়া।

বুধবার ব্রিটেনের শ্রম সাংসদ তনমনজিৎ সিং দেশি সংসদে বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি জানান, ভারতের পাঞ্জাব ও অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা কৃষকরা নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন দিল্লি সীমান্তে। তাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে আটকাতে কাঁদানে গ্যাস, জলকামানের ব্যবহার করা হচ্ছে।

এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির কাছে এই বিষয়ে ব্রিটেনের উদ্বেগের বার্তা পৌঁছে দেবেন কিনা। পাশাপাশি তিনি জানতে চান, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার সকলেরই আছে। এবিষয়ে তার বক্তব্য কী।

এরপর তাঁকে উত্তর দিতে গিয়েই ভুল করেন বরিস জনসন। ঠিক কী বলেছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী? তাঁর কথায়, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যা হচ্ছে তা নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। কিন্তু এটা দুই দেশের সরকারের নিজস্ব ব্যাপার।” সেই সঙ্গে তিনি জানান, তাঁর বিশ্বাস দুই দেশই বিষয়টি মিটিয়ে নেবে।

এমন কথা শুনে হতভম্ব হয়ে যান তনমনজিং। পরে তিনি তাঁর প্রশ্ন ও জনসনের উত্তর-সহ ভিডিওটি সােশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দেন। সেই সঙ্গে লেখেন, “সকলেই দেখছে কীভাবে জলকামান , কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার করা হচ্ছে নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চলতে থাকা প্রতিবাদের বিরুদ্ধে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার সকলেরই আছে। এটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বুঝতে সাহায্য করবে তাঁকে আসলে কী নিয়ে বলতে বলা হয়েছিল।”

প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ সরকার এখনও পর্যন্ত কৃষি বিক্ষোভ নিয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। গত সপ্তাহেই এটাকে ভারত সরকারের নিজস্ব ব্যাপার বলে জানিয়ে দেয় তারা।