• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

কৃষিতে ছাড় নিয়ে আন্দোলনের পথে ফ্রান্সের কৃষকরা

প্যারিস, ৩১ জানুয়ারি – মোদি সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিল ভারতের হাজার হাজার কৃষক। আন্দোলনের জেরে অবরুদ্ধ হয়েছিল রাজধানী দিল্লি। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় বিজেপি সরকার। এবার একই ভাবে আন্দোলনে নামলেন ফ্রান্সের কৃষকরা। ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সরকার কৃষি ক্ষেত্রে যে ছাড় ঘোষণা করেছেন তাতে অখুশি কৃষকরা। আয় বাড়ানো, লাল ফিতের

প্যারিস, ৩১ জানুয়ারি – মোদি সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিল ভারতের হাজার হাজার কৃষক। আন্দোলনের জেরে অবরুদ্ধ হয়েছিল রাজধানী দিল্লি। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় বিজেপি সরকার। এবার একই ভাবে আন্দোলনে নামলেন ফ্রান্সের কৃষকরা। ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সরকার কৃষি ক্ষেত্রে যে ছাড় ঘোষণা করেছেন তাতে অখুশি কৃষকরা। আয় বাড়ানো, লাল ফিতের ফাঁস এবং বিদেশি প্রতিযোগিতা থেকে সুরক্ষার দাবিতে আন্দোলনে নামলেন ফ্রান্সের কৃষকরা।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ট্রাক্টর দিয়ে প্যারিস, লিওন-সহ ফ্রান্সের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহর অবরুদ্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে  আন্দোলনকারীদের। যা দিল্লির ঘটনার প্রতিচ্ছবি। কৃষকদের মুখে দেখা গেল মহাত্মা গান্ধির স্লোগান ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’ । আন্দোলনের কৃষক নেতা সার্জ বুসকেট-ক্যাসাগন সঙ্গী কৃষকদের উদ্দেশে বলেছেন, “তোমাদের জন্য আমি গর্বিত। আপনারা এই সংঘর্ষ লড়ছেন, যেহেতু লড়াই না করলে আমাদের মরতে হবে।”  উল্লেখ্য, ম্যাক্রোঁ যেদিন সাধারণতন্ত্র দিবসের অতিথি হয়ে দিল্লিতে আসেন সেদিন থেকেই প্যারিসে কৃষক আন্দোলনের সূত্রপাত।

এদিকে শহরমুখী বিক্ষুব্ধ কৃষকদের কড়া বার্তা দিয়েছে প্রশাসন। মন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিনের নির্দেশ, পুলিশের তৈরি নিয়ন্ত্রণরেখা কৃষকরা অতিক্রম করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেরাল্ড বলেন, “ওঁরা পুলিশকে আক্রমণ করতে পারেন না, ওঁরা রুঙ্গিসে প্রবেশ করতে পারবেন না, ওঁরা প্যারিস বিমানবন্দর বা প্যারিসের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।” তা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সব মিলিয়ে কয়েক বছর আগের মোদি সরকারের মতোই অস্বস্তিতে পড়েছে ম্যাক্রোঁ সরকার।