বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার সাঁড়াশি আন্দোলনের চাপে পালাবদল হয়েছে। সেই পালাবদলের আঁচে প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক ঋত্বিক ঘটকের রাজশাহী শহরে থাকা পাকাবাড়ি আগেই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার প্রয়াত সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গো-পাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটেও বেদখল হয়ে গেল। উল্লেখ্য, এই বাড়িতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। এই সাহিত্যিকের বাড়ি ভাঙচুর করার পর সেখানে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা চালের গুদাম বানিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
মাদারীপুর জেলার ডাসা উপজেলার কালকিনি গ্রামে সুনীলের পৈতৃক বাড়িটি ভাঙচুর করা হয়েছে। সোহেল হাওলাদার এই বাড়িটির দখল নিয়েছে। সাহিত্যিকের বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বইপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী। প্রয়াত সাহিত্যিকের সাত একর ১৫ শতক পৈতৃক জমি রয়েছে। এই জমির মধ্যে দুই একর ৯৭ শতক জমি সরকারি খাস জমি হিসেবে চিহ্নিত হয়। গত শনিবার বিএনপি নেতা সোহেল এবং তার অনুগামীরা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে তছনছ করে দেওয়া হয় পাঠাগারটিও।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাধিক ছবি ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি, সাহিত্যিকের বাড়ির সামনে জেলা প্রশাসনের লাগানো একটি সাইনবোর্ডও সরিয়ে দেওয়া হয়। শেখ হাসিনার সময়ে এই সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছিল। সাহিত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় মানুষজন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।
জেলাশাসক মহম্মদ মারুফর রশীন খান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বেআইনি দখলদারদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি দ্রুত বাড়িটি পুনরুদ্ধার করা হবে। শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশজুড়ে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করাটাই বাংলাদেশের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।